ওয়ান্ডার ওম্যান” “Wonder Woman”
ওয়ান্ডার ওম্যান আমেরিকান ডিসি কমিকসের উপর নির্ভর করে সুপার হিরোর ধাচের একটি ফিল্ম,ফিল্মের নামটিও কমিকসের মতোই ছিলো।প্যাটি জেনকিন্সের এটাই প্রথম সুপার হিরো ধাচের সিনেমা, এছাড়া সে “দ্যা কিলিং” নামক টিভি সিরিজের জন্য দারুণ বিখ্যাত।তাছাড়া ২০০৩ সাল থেকে তার “এরেষ্টেড ডেভেলপমেন্ট” দর্শক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে আসতেছে এজন্যই হয়তো “ওয়ার্নার ব্রোস পিকচার্স” নামক প্রতিষ্ঠান তার উপরে ভরসা করেছেন এবং ফলও পেয়েছেন বটে। গল্পটা আমাজন দ্বীপে বেড়ে ওঠা “প্রিন্সেস ডায়ানকে” ঘিরেই।পরিচালক এখানে খুব দারুণ ভাবেই ডায়ানাকে তুলে ধরেছেন।
অভিনয়সংক্ষেপ
গাল গ্যাডটঃ
গল্পের প্রাণ ফাষ্ট এন্ড ফিউরিয়াস খ্যাত গাল গ্যাডট এছাড়াও তার অভিনীত আরো বেশ কয়েকটি বিখ্যাত সিনেমা রয়েছেন যার মধ্যে ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান বেশ আলোচিত।যাই হোক সুপার হিরো ধাচের সিনেমায় তিনি নতুন না তাই তাকেঘিরে যেমনটা আশা ছিলো বেশ তেমনই পেয়েছি।তাঁর ডাবিং পার্ট গুলো অসাধারণ ছিলো।নিজের রাজ্য ছেড়ে পৃথিবীতে তার আগমনের পরের মূহুর্ত গুলো বেশ ছিলো।ক্রিশ পাইনের সাথে তার ক্যামেস্ট্রি ওয়াহ আমার বেশ লাগলো 😍 বেশি ভালো লাগছে যখন গ্যাডট ক্রিশকে বলে যুদ্ধের পরে মানুষ কি কি করে তখন তাঁর চেহারাটা দেখার মতো ছিলো একদম ক্লাস এক্টিং।গ্যাডটের হাস্যজ্বল মুখ পুরো সিনেমায় ছিলো দেখার মতোন আহা কি হাসি 😍
ক্রিশ পাইনঃ
আমেরিকান পাইলট ক্রিশ পাইন স্ক্রীণে তাকে পেয়ে যাবেন শুরুর কিছু পরেই।অদ্ভুতভাবে আকাশ থেকে পানিতে এবং পানি থেকে ডাঙ্গায় আসার মাধ্যমে তার সিনেমাই এন্টি হয় যদি এরসাথে ডায়ানার অবদান বেশি।হেল ওর হাই ওয়াটার খ্যাত এই অভিনেতাও পুরো সময় জুড়ে বেশ দারুণভাবেই নিজেকে তুলে ধরেছেন।একশ্যান বা আবেগী বা একটু রোমান্টিক সব দিকেই তিনি গ্যাডটের থেকে কম ছিলেন না।নারীকেন্দ্রীক সিনেমা হলেও সে ভালোই করেছেন।
কাহিনীসংক্ষেপঃ
আমাজান দ্বীপের রাজকন্যা “ডায়ানা” মানব জাতীকে রক্ষা করার জন্য জিউসের মাধ্যমে এই নারীযোদ্ধাদের সৃষ্টি হয়।ছোট থেকেই ডায়নাকে এই সকল প্রশিক্ষণ থেকে বিরত রেখেছিলেন তার মা কিন্তু তার বোন তাকে আরো কঠোরভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলেন।১৯১৮ সাল ডায়ান এখন একজন প্রশিক্ষিত যুবতী,হঠাৎ একদিন আমাজানের থিমসিরন উপকূলে এক আমেরিকান আর্মির প্লেস ক্রাশ হয় আর সেই পাইলটকে ডায়ানা রক্ষা করে এদিকে জার্মান নৌবহর থিসিরন অবধি চলে আসে পাইলট ধাওয়া করতে করতে এরপরেও শুরু হয় জার্মান নাবিকদের সাথে আমাজান নারী সৈন্যদের হামলা পালটা হামলা।ডায়নাকে বাচাতে গিয়ে প্রাণ হারান তাদের দলের একজন।এবং সবশেষে পাইলটকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেনো সে এখানে এসেছে, তার জবানবন্দি তে জানা যায় সে জার্মান কোন এক রসায়নবিদের এক নোটবুক চুরি করে পালিয়ে এসেছে আর এখান থেকেই গল্পের মূল আকর্ষণ শুরু সেজন্য অবশ্যই দেখতে হবে আপনাকে এই সিনেমাটি।আপনার ধারণা যদি হয়ে থাকে যুদ্ধ মানেই শান্তি তবে অবশ্যই এই সিনেমা দেখার পরে আপনার ধারণা বদলে যাবে।সবশেষে একটা জিনিষই শিখলাম যুদ্ধ নয় ভালোবাসার মাধ্যমেই পৃথিবী সুন্দর করা সম্ভব
পরিচালকঃ প্যাটি জেনকিন্স
রচয়িতাঃ এলান হেইনবার্গ
অভিনয়েঃ গাল গ্যাডট,ক্রিস পাইন,কনি নাইসেন,ডেভিড থুইস,রবিন রাইট,লুসি ডেভিস আরো অনেকে।
ধরণঃ একশ্যান,এডভেঞ্চার,ফ্যান্টাসি
ব্যাপ্তিকালঃ ১৪১ মিনিট
মুক্তিসালঃ ০২ জুন,২০১৭ইং
দেশঃ ইউনাইটেড স্টেট
বাজেটঃ $১৪৯মিলিয়ন
বক্সঅফিসঃ $৮২১.৯মিলিয়ন
আইএমডিবিঃ ৭.৬/১০
ব্যক্তিগত মতামতঃ ৮/১০
বিনোদন জগতের সকল আপডেট পেতে হলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন।