পাসওয়ার্ড কিভাবে হ্যাক করা হয়?কি ভাবে পাসওয়ার্ড হ্যাক থেকে রক্ষা করা যায়?

Hack password bangla

(পাসওয়ার্ড হ্যাক) অনলাইনে ফেসবুক,টুইটার,ইমেইল একাউন্ট আমাদের সবার কাছেই আছে, হয়ত অনেক গুলোই হবে।আর এই একাউন্ট গুলো নিরাপদে রাখার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করি।আমরা সবাই জানি যে এই পাসওয়ার্ড গুলো শুধু আমাদের মাথায় থাকে না এই পাসওয়ার্ড গুলো আমাদের  থেকে অনেক দূর কত গুলো সার্ভারেও থাকে যার নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে নেই এবং এই সার্ভার গুলো কোথায় অবস্থিত তাও আমাদের জানা নেই।তাহলে এই অবস্থায় কিভাবে আমাদের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে হ্যাকাররা আমাদের একাউন্টের নিয়ন্ত্রণ  নিয়ে নেয় আজ আমরা এই বিষয় সম্পর্কেই কথা বলব, তাহলে চলোন শুরু করা যাক।

আজ কত গুলো হ্যাকিং মেথড এবং এগুলো থেকে নিরাপদে থাকার কৌশল গুলো বলব।

১)Social Engineering Attack: এই মেথডটা অনেকটা আপনার মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রন করে কাজটা করা হয়। এই মেথডে হ্যাকার প্রথমেই আপনার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে দেয় যেমন:আপনার নাম,কোথায় থাকেন,মোবাইল নাম্বার,আপনার প্রেমিকার নাম,স্ত্রীর নাম,বাবার নাম,মার নাম,সন্তানের নাম,কোথায় কাজ করেন ইত্যাদি ইত্যাদি।এরকম অনেক হাজারও তথ্য নিতে চাইবে এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে যেন আপনার মধ্যে একরকম বিশ্বাস তৈরী করতে পারে যেন আপনার মনে হয় ওরা আপনার উপকার করছে।এর মধ্যে দিয়েই আপনার পাসওয়ার্ড ওরা অনুমান করে পেলবে বা আপনাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবে আর আপনি বলেও দিবেন।এইরকম ঘটনা সচরাচরই আমাদের সঙ্গে ঘটে যেমন বিভিন্ন কম্পানির কাস্টমার কেয়ার থেকে কল আসে এবং ওখান থেকে খুব মিষ্টি সুরে আপনার সঙ্গে কথা বলে এই কাজের জন্য ওই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিতে থাকবে আর আমরা বোকার মত অনেক সময় নিজের পিন বা পাসওয়ার্ড নাম্বার ও বলে দেই অবশেষে হয়ে যাই হ্যাকিং এর শিকার।

Social Engineering Attack থেকে বাচতে হলে আপনাকে যা করতে হবে: কখনো পাসওয়ার্ডে  আপনার নাম,বাবা-মার নাম,প্রেমিকার নাম বা মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন না।অপরিচিত কারো সাথে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না এবং পরিচিত কারো সাথে গোপন তথ্য শেয়ার করবেন না।

২)Phishing site: পিশিং সাইট হচ্ছে হ্যাকার আপনার যে ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে চায় ঠিক দেখতে একই রকম একটা সাইট ডিজাইন করবে এবং ওই সাইটে আপনাকে দিয়ে লগইন করাবে আর যেই আপনি লগইন করবেন সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাসওয়ার্ড ইমেইল মোবাইল নাম্বার সব কিছু হ্যাকারের কাছে চলে যাবে।এখন কথা হচ্ছে হ্যাকার আপনাকে দিয়ে কিভাবে পিশিং সাইটে লগইন করাবে, এই কাজটি করতেও তারা Social Engineering Attack  ব্যবহার করে।অনেক সময় ওরা আপনার ইমেইলে আপনার ব্যাংক বা ফেসবুক ,গুগলের মত দেখতেই ইমেইল থেকে ইমেইল করে বলবে আপনার একাউন্টে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়য়েছে সমস্যাটি সমাধান করতে এই লিংকে ঢুকুন।আর তখনই আপনার সামনে আপনার ব্যাংকের মত বা ফেইসবুকের মত পিশিং সাইট খুলে যাবে যা দেখতে ঠিক একরকমই হবে আর আপনি সরল মনে সেখানে আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন আর সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু কেল্লাপথে।এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে ওরা কিভাবে জানবে আপনি কোন ব্যাংক ব্যবহার করেন বা আপনার ইমেইলই বা কি করে জানবে? আমি উপরেই বলে এসেছি Social Engineering Attack এর কথা এই মেথড কাজে লাগিয়েই আপনার এই সাধারন তথ্য গুলো হাতিয়ে নিবে।

পিশিং সাইট থেকে বাচতে চান তাহলে আমার এই ভাইরাস টুটাল লেখাটি পড়েন এখানে ভাইরাস টুটাল সম্পর্কে বলা আছে এটি একটি গুগলের ওয়েব সাইট এখানে আপনি কোনো লিংকে ঢুকার আগে ওই লিংকটা স্ক্যান করে নিতে পারবেন ,যদি ওই লিংকটি কোনো পিশিং সাইট বা ভাইরাস আক্রমনাত্নক হয় তাহলে খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন।

3)Key-logger: কি-লগার জিনিস টা খুবই ভয়ানক, এটা  সাধারনত সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যার আকারে থাকে।হ্যাকার এই সফ্টওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করে দিবে তারপর থেকে আপনার কি-বোর্ড দিয়ে যেকোনো  জায়গায় লগইন করলে সেই লগ ফাইল গুলো হ্যাকারের কাছে পাটিয়ে দিবে।  আপনার আশে পাশে এমন কেউ থাকতে পারে যে আপনার ক্ষতি করতে চায় সে সহজেই এই মেথডে কাজে লাগিয়ে আপনার ক্ষতি করতে পারে।তাই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কারো পেন ড্রাইভ লাগানোর আগে আপনার কম্পিউটারে ভাল কোনো ফায়ারওয়াল( firewall) সফ্টওয়্যার ইন্সটল দিয়ে রাখুন ।

পাসওয়ার্ড সেইফ রাখার জন্য কিছু টিপস

  • পাসওয়ার্ড বানানোর সময় একটু চালাকি করে পাসওয়ার্ড বানাবেন যেমন E কে 3, a কে @, O কে 0,A কে 4 দিয়ে পাসওয়ার্ড বানাবেন।
  • সবসময় ক্যাপিটাল লেটার স্মলার লেটার ব্যবহার করবেন।
  • নিজের নাম বা নাম্বার ,নিজের পরিচিত কারো নাম ব্যবহার করবেন না।
  • পাসওয়ার্ড নিয়মিত পাল্টাতে হবে।
  • পাসওয়ার্ড যতটা সম্ভব লম্বা করে বানাবেন, ৮ টি অক্ষর থেকে বেশি অক্ষর দিবেন।




এই প্রযুক্তির যুগে যতটা সম্ভব নিজেকে সেইফে রাকবেন। আজকাল এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই যেকোনো খারাপ ব্যাক্তি আপনার পরিচয় দিয়ে কোনো ধর্মের উপর আঘাত করতে পারে যার দায়বার সম্পূর্ণ আপনার উপর এবং আপনার পরিবারের উপর পরবে এবং তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।

ভাল থাকবেন সুস্থ্য তাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন । সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আমার আরো লেখা আসবে তত দিন অপেক্ষা করুন।

Upwork যেভাবে সফল ফ্রিলেন্সিং ক্যারিয়ার গড়বেন

upwork bangla

ফ্রিলেন্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Upwork. বর্তমানে Upwork কে বলা হয় প্রফেশনাল ফ্রিলেন্সারদের জায়গা।তাই আজকাল বাংলাদেশে কেউই নতুন ফ্রিলেন্সারদের পরামর্শ দেয় না Upwork কে কাজ করে ক্যারিয়ার গড়ার, কারণ আপওয়ার্কের কঠুর নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং সঠিক দক্ষতার অভাবে অনেকেই আপওয়ার্ক থেকে বাংলাদেশের জন্য অনেক দুর্নাম অর্জন করেছেন যার ফল ভুগ করতে হচ্ছে প্রফেশনাল ফ্রিলেন্সারদের।আজ আপওয়ার্ক নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করেছি।যেন আর কাউকে আপওয়ার্ক থেকে খালি হাতে ফিরতে না হয়।

আপওয়ার্কে একবার কাজ পেলে পিছনে ফিরে না তাকালেও চলে। আপওয়ার্কে একজন বায়ারের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পেলে অন্য বায়াররা ঐ সেলারকে খুব সহজেই বিশ্বাস ও কাজের যোগ্য মনে করে।
আপওয়ার্কে যে সমস্ত কাজপাওয়া যায় :

ওয়েব এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

এসইও, অনলাইন মার্কেটিং

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া

মোবাইল অ্যাপস

রাইটিং ও ট্রান্সলেশন

সেলস ও মার্কেটিং

নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশান সিস্টেম

অ্যাডমিনিস্ত্রেটিভ সাপোর্ট।

আরও অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় নিচের ছবি তে একটি সম্পূর্ণ লিস্ট দেয়া আছে সেখান থেকে আপনার উপযোগ্য কোনটি বেছে নিন।

কাজ করার ধরন: 

১। ফিক্সড প্রাইস কাজঃ একটা কাজের জন্য নির্দিষ্ট প্রাইস
উদাহরণঃ একটি লোগো দরকার এবং এর জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে $40 দিবে,
২। আওয়ারলি কাজঃ একটা কাজের জন্য নির্দিষ্ট টাইম দেয় এবং সেই টাইম এর মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে
উদাহরণঃ একটি লোগো দরকার এবং এর জন্য ক্লায়েন্ট ৫ ঘণ্টা সময় দিবে এর মধ্যে আপনাকে কাজটি করে দিতে হবে, আপওয়ার্ক একটা বিশেষ সফটওয়্যার দ্বারা আপনার কাজের হিসাব রাখে এবং ক্লায়েন্টকে সময়মত কাজের স্ক্রীনশট দিয়ে কাজটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টায় ক্লায়েন্ট আপনাকে আপনার রেট অনুযায়ী ডলার পেমেন্ট করবে।
আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট ও শতভাগ প্রোফাইল তৈরি :
আপওয়ার্কে কাজের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপওয়ার্কে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।  এক্ষেত্রে একটা ইমেইল এড্রেস লাগবে। অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করার জন্য ইমেইল ভেরিফিকেশান করা হয়। অ্যাকাউন্ট করার সময় সাইনআপ ফর্মে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হয়। অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত হয়ে গেলে  নিজের প্রোফাইলকে প্রফেশনালভাবে সাজাতে হবে।আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট লগইন থাকা অবস্থায় ” এডিট প্রোফাইল ” এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট এডিট করতে হবে। হাসি খুশি স্পষ্ট একাটা প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করা ভাল। প্রোফাইলে আপনার অতীতে করা কাজের উদাহরণযুক্ত করা যায়। এটা বায়ারকে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করে। তাছাড়া যে কাজে আপনি এক্সপার্ট সে কাজের যদি কোন সনদপত্র থাকে তাহলে তা ব্যাবহার করতে পারবেন। টাইটেলে আপনি যে কাজ করতে চান সেগুলোর সুন্দরভাবে উল্লেখ করুন যাতে যে কেউ বুঝতে পারে আপনি সে কাজগুলোতে দক্ষ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটাই আপনার নামের সাথে সবার প্রথমে ক্লায়েন্ট দেখতে পারবে। এটা দেখে ক্লায়েন্ট পছন্দ করলে আপনার বাকি প্রোফাইল দেখতে আগ্রহবোধ করবে। ওভারভিউ সুন্দর করে লিখবেন। কপিপেস্ট করা যাবেনা। নিজে লিখলে সবচেয়ে ভাল হয়। যদি না হয় অন্য কোথাও থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। এখানে যে যে বিষয়ে আপনি দক্ষ সে বিষয়গুলো যোগ করতে পারেন। সর্বনিম্ন ৫ডলার করবেন, তাও প্রথম ফিডব্যাক পর্যন্ত। এরপর বাড়াতে থাকবেন। স্কিলটেস্ট ছাড়া ১০০% প্রোফাইল করা যাবেনা। প্রোফাইল শতভাগ করার জন্য স্কিল টেস্ট দিতে হয়। যার যেই বিষয়ের উপর জ্ঞান আছে এবং যে বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী সে সেই বিষয়ের উপর স্কিল টেস্ট দিতে পারেন।  স্কীল টেস্টে ভাল ফলাফল করলে সেটিকে প্রোফাইলে প্রদর্শণ করাবেন।  তাতে প্রোফাইল শক্তিশালী এবং প্রফেশনাল হবে।
আপওয়ার্কে কাজের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় :
জবে ক্লিক করলে যে কাজটি ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে করাবে সেটির বর্ণনা আসবে। সেটি ভালভাবে পড়ে দেখুন, আপনার পক্ষে করা সম্ভব কিনা। কাজটির ধরন কি? ঘন্টাভিত্তিক হলে লিখা থাকবে আওয়ারলি, ফিক্সড হলে লেখা থাকবে ফিক্সড। তারপর থাকে কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, কাজটি কবে পোস্ট হয়েছে আরও অনেক কিছু আছে। পড়ে বুঝে নিতে হবে।কোন জব পোস্টের ১০ মিনিটের মধ্যে বিড করলে কাজ পাওয়ার সুযোগ বেশি।
১) আপওয়ার্কে কাজের জন্য আবেদন করাটাকে বিড বলা হয়। আপনার একাউন্টের জন্য নির্দিষ্ট ৩০টি বিড করার কোটা আছে। অর্থাৎ এক মাসে ৩০টা কাজের জন্য আবেদন করা যায়। সুতরাং আপনার এ কোটা ভালভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন। শুধু শুধু বিড করে  আপনার কোটা নস্ট করে কোন লাভ নেই। তাছাড়া অতিরিক্ত বিড কিনাও যায়।

২)  যে কাজটির জন্য বিড করবেন, সেটার বর্ণনা ভালভাবে পড়ে বুঝেনিন। যে কাজে বেশি বিড হয়নি, সেগুলোতে বিড করবেন, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যাবে। যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়, তাহলে আপনার এ নিয়ম ভালভাবে পালন করতে হবে।৩) খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন কারনে মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।

৪) বিড করার আগে অবশ্যই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করে নিবেন। ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার সময় যে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য করবেন:

–   ক্লায়েন্ট এখন পর্যন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছে।

–   ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।

– যে ধরনের কাজে বিড করছেন,  সে ধরনের কাজ ক্লায়েন্ট আগে করিয়ে থাকলে সেটা কত রেটে করা হয়েছে, সেটা খেয়াল করবেন।  সে অনুযায়ী বিড করবেন। বিড করার জন্য কভার লেটার লাগবে।
কভার লেটার লিখার নিয়ম:
কভার লেটার ইংরেজিতে লিখতে হয়। এজন্য ইংরেজিতে মোটামুটি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। খুব লম্বা করে কভার লেটার লিখবেন না।

পারলে এক-দুই লাইনে লিখে ক্লায়েন্টকে  বুঝানোর চেষ্টা করোন কাজটি পারবেন, তাহলে ক্লায়েন্ট খুশি হবে সবচাইতে বেশি। ক্লায়েন্টের সময়ের মূল্য আছে। বড় কভার লেটার দেখলে ভয়ে আর সেটা পড়বেনা ক্লায়েন্ট।

মনে মনে নিজেকে ক্লায়েন্ট ভাবুন। এবার ভাবুন, আপনাকে কেউ কিভাবে বললে আপনি কাজটি টাকা খরচ করে করাবেন।  অন্যের কভার লেটার নিজে ব্যবহার করবেননা। আপনি ইংরেজী কম জানলেও না। কারন আপনি খুব ভাল কেউ ইংরেজী পারে এমন কাউকে দিয়ে হয়ত কভার লেটারটি লেখালেন্। ক্লায়েন্ট কাজ দেয়ার আগে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। তখন দেখল আপনার ইংরেজী লেখার ধরন অন্যরকম, তখন শুরুতেই আপনার ব্যাপারে বিশ্বাসটি উঠে যাবে। সেজন্য কাজটি আর আপনি পাবেননা। নিজের একই কভার লেটারও বারবার ব্যবহার করবেন না। অর্থাৎ যা লিখবেন, প্রত্যেকে বিড করার সময় কাজের বর্ণনা বুঝে লিখবেন। বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিন। এটি আপনার ৫০০০ লাইনের কথা বলার সমান কাজ করে দিবে। কভার লেটারে নিজের গুনগান গেয়ে কিংবা করুণা ভিক্ষা চেয়ে ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেন না। প্রজেক্টটি ভালভাবে বুঝে সে অনুযায়ি কভার লেটার তৈরি করুন। কখনো ভুলেও আপনার ইমেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কভার লেটারে দেওয়া যাবেনা। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট ডিটেইলস তাকে দিবেন।
কভার লেটারের গঠন :
কভার লেটারের প্রথমে স্যার বলে সম্বোধন করলে বাংলাদেশিরা পছন্দ করে। কিন্তু হাই , হ্যালো দিয়ে সম্বোধন করলে বিদেশীরা পছন্দ করে। কভার লেটার লিখার সময় নিজেকে এক্সপার্ট পরিচয় দিলে বায়ার আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। প্রজেক্টটি পড়ে আপনি যে ক্লায়েন্টের চাহিদা ভালভাবে বুঝেছেন, সেটি লেটারের প্রথমেই বোঝানোর জন্য কোন লাইন লিখতে পারেন। এবার বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনারে পক্ষে যে কাজটি করা সম্ভব। এ ধরনের কাজের ব্যপারে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। ক্লায়েন্টের রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি অপেক্ষা করছেন, এ ধরনের কোন লাইন লিখুন। ধন্যবাদ সহকারে নিজের নাম উল্লেখ করে শেষ করেন লেটারটি।

                                                      কভার লেটারে বায়ারকে বুঝাতে হবে তিনটি বিষয়।

                                                     ক)  আপনি কাজের বর্ণনা ভালভাবে বুঝেছেন।

                                                     খ) কাজটি কিভাবে করতে চাচ্ছেন।

                                                     গ)   কাজটি আপনার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা না।




কাজ শুরু করুন :
ক্লায়েন্ট যদি কাজের জন্য আপনাকে নির্বাচন করে তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার ইন্টারভিউ নিবে। ক্লায়েন্ট যদি মনে করে আপনি কাজটি পাওয়ার যোগ্য তাহলে কাজটি পেতে পারেন। ঘণ্টাভিত্তিক কাজেরক্ষেত্রে আপওয়ার্ক থেকে আপওয়ার্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিন, পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার কাজ শুরু করার আগে কাজটি সিলেক্ট করে স্টার্ট – এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন, কাজের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে। সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিণশট নিবে, সাথে সাথে সেটা আবার ক্লায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। কাজ শেষ হলে ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে। এবার ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক দিবে, আপনাকেও দিতে হবে ক্লায়েন্ট সম্পর্কিত ফিডব্যাক। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে এ ফিডব্যাক হয়। উভয়পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরজনেরটা দেখতে পাবেন। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি ক্লায়েন্টর  পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবেনা। নোটিফিকেশন পেইজে “গিভ রিফান্ড”  -এ ক্লিক করে আপনি ক্লায়েন্টর পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য  “ট্রান্সেকশান হিস্টরি “-এ ক্লিক করুন।

শেষকথাঃ আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে শুধু UpWork কেন যে কোন যায়গায় আপনি ভাল কাজ করতে পারবেন, আপনার কাজের দক্ষতা UpWork এর জন্য নির্দিষ্ট নয়। Upwork নিয়ে আরো লেখা আসছে সঙ্গেই থাকুন।

 

 

Google Adsense approve করাতে হলে যা করতে হবে

google adsense bangla cyber

Approve Google Adsense: আগে জেনে নেয়া যাক গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে। গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলেরই একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি বিজ্ঞাপনদাতা নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে বা ইউটিউবের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ দেখানর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বিজ্ঞাপণদাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ টাকাই ওয়েবসাইটের মালিকদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়। আর গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে যেকেউ অর্থ আয় করতে পারে। প্রচুর বাংলাদেশী ব্লগার এবং ওয়েবসাইটের মালিক গুগল অ্যডসেন্সের বিজ্ঞাপণ প্রদর্শণের মাধ্যমে বর্তমানে অর্থ আয় করছেন।

আপনার ওয়েব সাইটের জন্য  গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করার পূর্বে আপনাকে ওয়েবসাইটের যে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট দুই ধরনের হয়।
১. হোস্টেড গুগল অ্যাডসেন্স
২. নন-হোস্টেড গুগল অ্যাডসেন্স বা সম্পূর্ণ অনুমোদিত অ্যাডসেন্স
হোস্টেড অ্যাডসেন্স মানে হচ্ছে যারা আপনাকে ফ্রি হোস্টিং এবং ডোমেইন দিচ্ছে এবং এটি ব্যাবহার করে আপনি কোন খরচ ছাড়াই এদের মাধ্যমে আপনার পোস্ট বা ভিডিও শেয়ার করতে পারছেন। এইসকল মাধ্যম ব্যাবহার করে আপনি যে অ্যাডসেন্স পাবেন সেটা হচ্ছে হোস্টেড অ্যাডসেন্স। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এসকল সাইট গুলোকে গুগল অ্যাডসেন্স এর পার্টনার হতে হবে। হোস্টেড এর ক্ষেত্রে আপনি যা ইনকাম করবেন সেটা তিনটা অংশে(প্রতিটা অংশের পারসেন্টেজ ভিন্ন হবে) ভাগ হবে। এক অংশ গুগল পাবে, আরেকটা পাবে ওই ফ্রি ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডার  এবং শেষে আপনি পাবেন। হোস্টেড এর কিছু উদাহরনঃ ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউব ইত্যাদি।
আর নন-হোস্টেড অ্যাডসেন্স মানে হচ্ছে ডোমেইন এবং হোস্টিং আপনার নিজের কেনা এবং এর ফুল কন্ট্রোল আপনার হাতে। তাই এই সকল সাইটের মাধ্যমে ইনকামও হবে বেশি। শুধু মাত্র কিছু অংশ গুগল নেবে বাকি অংশ আপনি পাবেন।
এবার আসুন আলোচনা করা যাক অ্যাডসেন্সে এপ্লাই করার পূর্বে আপনার সাইটটি কেমন হতে হবে……
১. ওয়েবসাইটের ডিজাইনঃ গুগল চায় যে আপনার ওয়েব সাইটটি আপনার ব্যবহারকারীরা যেন খুব সহজ এবং সাছন্দে ব্যবহার করতে পারে।মনে করেন আপনি দুনিয়ার সব কালার দিয়ে সাইট ডিজাইন করলেন। এতে ভিজিটর যখন ভিজিট করবে তখন এত কালার মিশ্রন দেখে পরবর্তীতে সে নাও ঢুকতে পারে।আবার হোম পেজ থেকে অন্য পেজে যাওয়ার পর যদি আবার হোম পেজে সহজে ফিরে না আসতে পারে তাহলে ওই ব্যবহারকারীর কাছে আপনার সাইটটি একটি কারাপ অভিজ্ঞতা হতে পারে।  এতে ভিজিটর কমে যাবে এবং অনুন্নত সাইট ডিজাইনের জন্য Adsense approval নাও পেতে পারেন।
২.অ্যাডসেন্সের নীতিমালা: আপনার সাইটটি অবশ্যই গুগল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা মেনে তৈরি করতে হবে যেমনঃ কোন কপি পেস্ট কন্টেন্ট থাকা যাবেনা একদম ইউনিক কন্টেন্ট থাকতে হবে , সাইটে অরগানিক ট্রাফিক লাগবে, অনলাইনে বিজ্ঞাপন  বা কোনো সফ্টওয়্যার দিয়ে ভিজিটর আনা যাবে না।
৩.পর্যাপ্ত পরিমাণের কন্টেন্ট: আপনার সাইটটি যদি ব্লগ অথবা নিউস সাইট হয় তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পোস্ট থাকতে হবে অ্যাডসেন্স এ এপ্লাই করার পূর্বে। কমপক্ষে ৩০+ পোস্টের পরে যেয়ে এপ্লাই করা উচিত।আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনার সাইটে যেন খালি অথবা কোনো কন্টেন্ট ছাড়া পেজ না থাকে।
৪.রেসপন্সিভ ডিজাইনঃ আপনার সাইটের থিম/লেআউট রেস্পন্সিভ হতে হবে  এবং ভাল নেভিগেশন মেনু থাকতে হবে।যেন ভিজিটর আপনার সাইটে যেকোনো পেজ থেকেই হোম পেজ বা অন্য পেজে যেতে পারে।এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ডোমেইনের বয়সঃ ডোমেইন কেনার সময় এক বছরের অধিক সময়ের জন্য ক্রয় করুন কারণ ডোমেইনের বয়স যত বেশি হবে approval পাওয়াটাও তত সহজ হবে। কারন গুগল বুঝবে যে সাইটটা স্থায়ী হবে ভবিষ্যতে।সাইটের বয়স মিনিমাম ৪৫ দিনের হওয়ার পর এপ্লাই করা উচিত নয়।
৬. আপনার সাইটে অবশ্যই About, Contact Us, DISCLAIMER & Privacy policy পেজ থাকতে হবে আর এই পেজ গুলো ইংলিশে বানালে ভাল। এটা অন্যতম একটা শর্ত গুগলের। এগুলো অটো তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সাইট আছে। আপনি ওখান থেকে তৈরি করে নিতে পারেন বা নিজেও করতে পারেন।
৭.XML সাইটম্যাপ একটি ভালো মানের XML সাইটম্যাপ তৈরি করুন। গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে জমা দিয়ে গুগলে ইনডেক্স করান। ওয়ার্ডপ্রেসে  XML সাইটম্যাপ তৈরি করার জন্য অনেক প্লাগইনস রয়েছে ওই গুলো ভ্যবহার করতে পারেন আবার অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে সেই গুলো থেকে তৈরি করিয়ে নিতে পারেন।
৮. ডোমেইনের নামের সাথে মিল রেখে জিমেইল আইডি বানিয়ে ওই জিমেইল থেকে এপলাই করলে approval  হওয়ার চান্স বেশি তাই এই পদ্ধতিতে কাজ করে দেখতে পারেন।
৯. আপনার ডোমেইনে SSL Certificate রাখবেন এতে সাইটটি গুগলের কাছে আরো ট্রাস্টেড হয় আর approval হওয়ার  চান্সও বেশি।আর গুগল অ্যানালেটিকস এর সাথেও সাইট লিংক করে রাখবেন।
১০. অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট থেকে বাচিয়ে রাকবেন সাইটকে।


উপরে যে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি ওই গুলো মেনে কাজ করলে অবশ্যই আপনার সাইটে  Adsense approve দিয়ে দিবে। তাহলে আর আপনাকে Adsense approve করানোর জন্য টাকা দিয়ে কোনো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে হবে না।আরটিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর যদি কোনো সমস্যা হয় থাহলে এখানে কমেন্ট করুন বা আমাদের ফেইসবুক পেজে ম্যাসেজ দিন অবশ্যই সাহায্য করা হবে।

রিয়াজ(Riaz) চলচ্চিত্রে মাত্র ১০১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করেছিলেন?

হাজার বছর ধরে
হাজার বছর দরে

Riaz: অভিনেতা রিয়াজ  জহির রায়হান এর কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হাজার বছর ধরে চলচ্চিত্রে মাত্র ১০১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করেছিলেন! বাংলাদেশী চলচ্চিত্র হাজার বছর ধরে এটি ৮ জুলাই ২০০৫ সালে মুক্তি পায় । প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান এর কালজয়ী উপন্যাস ‘’হাজার বছর ধরে’’  অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মিত হয় এটি। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জহির রায়হানের সহধর্মিনী এক সময়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। ছবিতে প্রধান দুটি চরিত্র মন্ত ও টুনির ভুমিকায় অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও নবাগত শারমিন যোহা শশী। এছাড়াও শাহনূরএটিএম শামসুজ্জামানসুচন্দানাজমা আনোয়ার সহ আরো অনেকে অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে।

হাজার বছর ধরে  সুচন্দার পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র, তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র সবুজ কোট কালো চশমা, তিনি একটি দীর্ঘ বিরতি পর এই ছবিটি নির্মাণ শুরু করেন। তিনি এই চলচ্চিত্রের জন্য যথাক্রমে প্রায় ছয় বছর অপেক্ষা করেছেন। যখন হোতাপারা থেকে তিনি গাজীপুর গেলেন তখন শুটিং স্পট এবং প্রধান স্থান হিসেবে নির্বাচিত করলেন। মূল উপন্যাসের সাথে দৃশ্যের মিল রাখতে জায়গায় ঋতু পরিবর্তন মানা হয়। প্রকৃতিতে ঋতু পরিবর্তন স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল।

হাজার বছর ধরে  ছবিতে টুনি  চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে সুচন্দা ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শশীকে নির্বাচিত করেন। সুচন্দার এই ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে অভিনেতা রিয়াজ ছিলেন অন্য রকম, তিনি এই ছবিটির মন্ত  চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে নিয়েছিলেন শুধুমাত্র ১০১ টাকা।

ছবিটি দক্ষ নির্মাণ শৈলী দিয়ে নির্মাণ করে সুচন্দা চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছে দারুন ভাবে আলোচিত হন। এবং জিতে



নেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার-এর একটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট চারটি বিভাগে ও পরে ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৫ এর মোট ছয়টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

 

 

 

Kids Coding-Google Doodle বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং ভাষার 50 বছর উদযাপন করছে

Google Doodle

Google Doodle ‘Kids Coding’  গুগল ডুডল  বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং ভাষার 50 বছর  উদযাপন করছে।

Google Doodle

গুগলের হোমপেজে গেলে দেখা যাচ্ছে একটি খরগোশ এর গেম ।
এই অনন্য doodle কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ (CSEdWeek) উদযাপন করতে গুগল এর প্রথম কোডিং doodle এবং 50 বছরের বাচ্চাদের কোডিং ভাষা উদযাপন করতে লাগানো হয়েছে। গুগল ডুডলস এর একটি টুইটে বলেছে যে এটি গুগলের “কোডিং #GoogleDoodle” এর প্রথম কোডিং বাচ্চাদের কোডিং ভাষা গুলির সুবর্ণজয়ন্তী বছর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।

এই  গুগল ডুডল গেমটিতে ব্যবহারকারীকে কোড ব্লক ব্যবহার করে গাজর সংগ্রহ করতে বলা হয় । গেমটিতে ছয়টি স্তর আছে এবং প্রতিটি স্তরের আগে, একটি টিউটোরিয়াল রয়েছে যা ব্যবহারকারীকে কোড কোডিং ভাষা ব্যবহার করে কোড ব্লক শিখতে সাহায্য করে। খেলার মধ্যে, একটি ছোট খরগোশ এগিয়ে একটি  করে গাজর তোলে এবং শিশুদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং ভাষা উপর ভিত্তি করে ব্লক কোডিং একসঙ্গে snapping দ্বারা সব গাজর সংগ্রহ করে।

ডুডলটি তৈরি করেছে  গুগল ডুডল দল, গুগল ব্লকলি টিম এবং এমআইটি স্ক্র্যাচ এর গবেষক!

সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে?

Submarine bangla

আপনার কি কখনো জানতে ইচ্ছে হয়েছে সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে? অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে সাবমেরিন কিভাবে চলে এবং কিভাবে পানিতে ভাসে ও আবার পানির নিচে চলে যায়। বিষয়টি তেমন জটিল কিছু না সাবমেরিন মূলত কাজ করে প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের “ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী” উপর ভিত্তি করে।এই থিওরীর উপর ভিওি করেই ১৬২০ সালে কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল নামীয় একজন ডাচ কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে সাবমেরিন আবিস্কার করেন।
ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী হল কোন অদ্রব্য বস্তুকে পানিতে ডোবালে তা নিজের আয়তনের সমপরিমান পানি অপসারিত করবে। সোজা কথায় অপসারিত পানির ভরের থেকে পানিতে ডোবানো জিনিসটি যদি হালকা হয় তবে তা ভেসে থাকতে পারে।বিষয়টাকে আরও সহজে ও ভেঙ্গে  বলছি যাতে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন ।

একটি খালি প্লাস্টিকের বোতলে যদি বাতাস ভরা হয় তখন কিন্ত বোলতটি পানিতে ভেসে থাকবে। ঠিক যদি আবার বোতলটিতে নতুন করে পানি ভর্তি করে দেওয়া হয় তবে সকল বাতাস বের হয়ে যাবে বোতলটি ভারী হয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যাবে। আবার যদি অর্ধেক বাতাস বোতলে রাখা হয় তবে বোতলটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় ভেসে থাকবে সেইম সূত্র অবলম্বন করে সাবমেরিন পরিচালিত হয়।

একই সূত্র ফলো করে সাবমেরিনে কিছু ব্যালাস্ট ট্যাংকার থাকে এর ভিতরে পানি ও বাতাস ডুকানো হয় যন্ত্রের সাহায্যে। যখন সাবমেরিন ডুবানোর দরকার পরে তখন এইসব ব্যালাস্ট ট্যাংকারে পানি ডুকিয়ে দেওয়া হয় ফলে সাবমেরিনটি ভারী হয়ে পানিতে ডুবে যায়। আবার যখন ভাসানোর দরকার পরে তখন ব্যালাস্ট ট্যাংকারের পানি গুলি বের করে যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত বাতাস ডুকতে থাকে ফলে সাবমেরিন পানির উপরে ভেসে উঠে।
তবে এতে করে সাবমেরিনের ভিতরে চাপের কোন পরিবর্তন হয়না কারণ হল এতে উন্নত মানের ষ্টীল, টাইটেনিয়ামের মতন ধাতু ব্যাবহার করা হয়। এইসব ধাতুর কারণে শুধু সাবমেরিনের ভিতরে নয় এর বাইরেরও পানি প্রচণ্ড চাপ সহ্য করার মতন ক্ষমতা থাকে।

সাবমেরিনের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে অক্সিজেন তৈরি করা হয়।

অনেকে প্রশ্ন করেন পানির কত নিচে পর্যন্ত যেতে পারে সাবমেরিন। আসলে সাবমেরিনের একটা নিদিষ্ট রেঞ্জ থাকে সেই রেঞ্জের  নিচে গেলে সাবমেরিনটির দুর্ঘটনায় ঘটবে । বর্তমানের আধুনিক সাবমেরিন গুলি মধ্যে সবচেয়ে বেশী চাপ নিতে সক্ষম মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন ও রাশিয়ান সাবমেরিনগুলি, মার্কিন সাবমেরিন গুলি ৪৫০০ ফুটের নিচে যেতে পারে না। যদি যায় তবে পানির বিশাল চাপে সাবমেরিন চ্যাপ্টা বানিয়ে ফেলবে।



সাবমেরিন কতদিন পানির নিচে থাকবে তা নির্ভর করে মূলত কতদিনের জ্বালানি আছে ও ক্রদের খাদ্য কি পরিমাণ রিজার্ভ আছে। যদি ডিজেল সাবমেরিন হয় তবে ডিজেল নেভার জন্য কিছুদিন পরেই উপরে আসতে হয়। আর যদি পারমাণবিক সাবমেরিন হয় তবে একবার জ্বালানি নিয়ে এটি একটানা ২৫ বছর বা আরও বেশী সময় পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ক্রদের খাদ্যর জন্য তাকে উপরে আসতেই হবে।কারণ পারমাণবিক সাবমেরিন নিজে ২৫ বছর বা আরও বেশীদিন পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ভিতরের মানুষের জন্য ৬ মাস পরে উপরে আসতেই হবে। সাবমেরিনে ৬ মাসের বেশী খাবার মজুদ রাখা যায় না।
আশা করি সাবমেরিন নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

ব্লগ(Blog) কি?

what is blog

ব্লগ(Blog) কি? যারা ব্লগিং করেন বা ব্লগিং শুরু করতে চান তাদের অবশ্যই জানা থাকা উচিৎ যে ব্লগ জিনিসটি আসলে কি এবং এটা কবে থেকে শুরু হয়েছে। আজ আমি এই লেখাতে আপনাদের ব্লগ সম্পর্কে সম্পূর্ন ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব ,তাহলে চলোন শুরু করি।

Blog শব্দটির উৎপওি Weblog থেকে। ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর মার্কিন নাগরিক জন বার্জার সর্বপ্রথম Weblog শব্দটি ব্যবহার করেন।এর ঠিক দুই বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ নামে এক ব্যাক্তি Weblog  শব্দটিকে ভেঙ্গে দুই ভাগ করেন – We Blog এর পরই সারা বিশ্যব্যাপী ব্লগ(Blog) জনপ্রিয় হতে শুরু করে। ইংরেজী Blog শব্দের অর্থে Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে- Blog is a personal record that somebody puts on their website giving an account of their activities and opinions and discussing places on the Internet they have visited.

কাজেই কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোন বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং বলে। মত প্রকাশের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসাবে এই ব্লগ আমাদের জীবন যাএায় এনেছে  নতুন মাএা। ব্লগ মূলত এক ধরনের ওয়েবসাইট, তবে সাধারন ওয়েব সাইট থেকে ব্লগের মূল পার্থক্য হল ওয়েব সাইট আপডেট করা হয় অনিয়মিত ভাবে অপরদিকে ব্লগ আপডেট করা হয় নিয়মিত ভাবে।এমনকি কিছু কিছু ব্লগ প্রতি মিনিটে আপডেট করা হয়। যারা ব্লগে মতামত প্রকাশ করে বা পোস্ট দেয় তাদেরকে ব্লাগার বলা হয়।

আশা করি ব্লগ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা দিতে পেরেছি।

প্রযুক্তির ইতিহাসে যা কিছু প্রথম

The-internet bangla cyber

আজ প্রযুক্তি দুনিয়ার কিছু অজানা এবং বেশ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা করব যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ঘটেছিল। আমরা যে ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি, এই ইন্টারনেটের বয়স কত জানেন? এই ইন্টারনেটের বয়স এ বছর ৪৮ চলছে। এই ৪৮ বছরের ইন্টারনেটের দুনিয়ায় যা কিছু প্রথম ঘটেছিল তা নিয়েই আজকের এই আয়োজন, তাহলে চলোন শুরু করা যাক।

প্রথম সার্চ ইঞ্জিণ (১৯৯০):

First Search Engine এর ছবি

ইন্টারনেটে যে কেনো তথ্য খোঁজার জন্য আমরা প্রতিদিন অনেকবারই সার্চ ইঞ্জিণ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকি। যেমন গুগল ওয়েবসাইটটি এখন সার্চ ইঞ্জিণ হিসেবে পৃথিবীতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীর সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিণ এর সম্পর্কে ?

১৯৮৯ সালে McGill University তে মাস্টার্স ডিগ্রিতে পড়ার সময় তরুণ কম্পিউটার সাইন্টিস Alan Emtage কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম এডমিনিস্টেটরের পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন তিনি দেখেন যে, স্টুডেন্টদের জন্য প্রতিনিয়ত অনলাইন ঘেঁটে সফটওয়্যার খোঁজা একটি কস্টকর এবং বোরিং জিনিস হয়ে গিয়েছি। তারপর তিনি একটি স্ক্রিপ্ট সেট তৈরি করেন যেটি ভার্সিটির সিস্টেম ডাটাবেজ থেকে অটোমেটিক্যালি রানিং হয়ে সহজ ভাবে তথ্য  ডাউনলোড করে দেয়।

তার এই স্ক্রিপ্টের কার্যকারিতা চারিদিকে ছড়িয়ে গেলে, তারই দুইজন কলিগ Bill Heelan  এবং J. Peter Deutsch তিনজন মিলে ১৯৯০ সালে Archie নামের একটি অনলাইন সার্চ ইঞ্জিণ নির্মাণ করে ফেলেন! Archie নামটি Archive নাম থেকে নেওয়া হয়েছে, শুধু অক্ষরটি বাদ দিয়ে।

প্রথম ইমেইল (১৯৭১):

First email

ব্যক্তিগত কিংবা অফিসিয়াল কাজে আজকাল আমরা প্রায়ই ইমেইলের আদান-প্রদান করে থাকি! কিন্তু দুনিয়ার সর্বপ্রথম ইমেইল কবে পাঠানো হয় তা কি জানেন?? সেই ১৯৭১ সালে! ১৯৭১ সালের শেষ দিকে Ray Tomlinson নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার টিনেক্স নামের একটি টাইম শেয়ারিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি সিপিনেট এবং SNDMSG নামের দুটি প্রোগ্রামকে একত্রে কাজে লাগিয়ে সর্বপ্রথম নেটওর্য়াক ইমেইল পাঠাতে সক্ষম হন!

এই ঘটনার আগে ১০ বছর পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি কম্পিউটারের এক ইউজার থেকে অন্য ইউজারে ইমেইল পাঠানো যেতো, কিন্তু তিনি সর্বপ্রথম দুটি কম্পিউটারের নেটওর্য়াকে ইমেইল পাঠাতে সক্ষম হন। আজকাল ইমেইলের পাঠানোর বৈশিষ্ট্যগুলো তখনও ঠিক একই ভাবে  ব্যবহৃত হয়েছিল। যেমন @ চিহ্ন দিয়ে ইউজারনেম এবং হোস্ট কম্পিউটারের নাম বিভক্ত করে নেওয়া। দুনিয়ার প্রথম নেটওর্য়াক ইমেইল ১৯৭১ সালে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কম্পিউটারের মধ্যে পাঠানো হয়েছিল!

প্রথম ওয়েবসাইট (১৯৯১):

প্রথম ওয়েবসাইট

৬ আগস্ট, ১৯৯১ সালে টিম বার্নার্স-লি ও তাঁর কোম্পানি নেক্সট কম্পিউটারের উদ্যোগে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রোজোক্টের অংশ হিসেবে ফ্রান্সের একটি অংশে চালু হয় বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট।পৃথিবীর প্রথম ওয়েবসাইটটি এখনও চালু রয়েছে কিন্তু।নিজেই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিন পিৃথিবীর প্রথম ওয়েবসাইটটি দেখতে কেমন এবং এতে কি আছে সাইটটির অ্যাড্রেস  http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html 

প্রথম সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইট (১৯৯৫):

The first social networking site

সোশাল নেটওয়ার্কিং এর সবথেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাই ফেসবুকের জন্মকাহিনী অনেকেই জানেন, ২০০৪ সালে ফেসবুকের জন্ম হয়। কিন্তু দুনিয়ার সর্বপ্রথম সোশিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইটের ব্যাপারে জানেন কি?

দুনিয়ার সর্বপ্রথম সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হচ্ছে classmates.com এটি ১৯৯৫ সালে Randy Conrads এর দ্বারা চালু করা হয়। তখন এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো, আমেরিকায় সাবেক হাই স্কুল বন্ধুদেরকে ইন্টারনেটে একত্র করে তাদের বর্তমান লাইফ স্টোরিগুলোকে একে অপরের সাথে শেয়ার করা। প্রথমে সাইটের নির্মাতা Randy Conrads তার সাবেক মিলিটারী স্কুলের বন্ধুদের সাথে কমিউনিকেট করা শুরু করলেও পরবর্তীতে সাইটটি অন্যদের কাছেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে।

প্রথম ওয়েব ব্রাউজার (১৯৯১):

First web browser এর ছবি ফলাফল

টিম বার্নার লি ১৯৯১ সালে দুনিয়ার সর্বপ্রথম ব্রাউজার WorldWideWeb তৈরি করেন। পরবর্তীতে তিনি এটির নাম Nexus এ পরিবর্তন করে দেন কারন এই নামটির সাথে web এর নামের মিল থাকায় স্বাভাবিকভাবেই একটি কনফিউশন তৈরি হতো।

১৯৯১ সালে একটি ইউরোপিয়ান কোম্পানি Cern এর নিউক্লিয়ার রিচার্জের জন্য টিম বার্নার লি এই WorldWideWeb ব্রাউজারটি তৈরি করে থাকেন। WorldWideWeb ব্রাউজারটি শুধুমাত্র Nextstep প্লার্টফর্মে চালানো যেতো। Nextstep প্লার্টফর্মটি অ্যাপেলের ম্যাক ওএস এক্স এর আগের সংস্করণ হিসেবে পরিচিত। তবে Nextstep প্লার্টফর্মটি জনসাধারণের জন্য তৈরি করা হয়নি বিধায় WorldWideWeb ব্রাউজারটিও জনসাধারণের ব্যবহার করার সুযোগ হয়ে উঠে নি।

কিন্তু ১৯৯৩ সালে ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সর্বপ্রথম জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী ওয়েব ব্রাউজার Mosaic রিলিজ করা হয়। Mosaic ব্রাউজারটি বার্নার লি’র সার্ভারেই তৈরি করা হয়, তবে এটায় গ্রাফিক্স, সাউন্ড এবং ভিডিও ক্লিপসের ফিচার যুক্ত করে রিলিজ করা হয়।

প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস (১৯৭১):

সম্পর্কিত ছবি

ম্যাথমেটিশিয়ান জন ভন নিউম্যান ১৯৪৯ সালে কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোকে নিজে থেকেই পরিবর্তন করতে পারে এমন একধরণের প্রোগ্রামের নাম কম্পিউটার ভাইরাস এবং ওর্মস দিয়ে একটি থিউরি প্রদান করে গিয়েছিলেন। তার এই থিউরী মোতাবেক দুনিয়ার প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে ক্রিপার কে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ক্রিপার ভাইরাসটি ১৯৭১ সালে আরপানেট নাম একটি কম্পিউটারে ইনফেক্ট করে।

ক্রিপার ভাইরাস টি BBN কোম্পানির বব থমাস নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করেন। তিনি ক্রিপার ভাইরাসকে শুধু পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি করেছিলেন। ক্রিপার আক্রান্ত কম্পিউটারে শুধু ”Im the creeper: catch me if you can” বার্তাটি প্রদর্শিত হতো, ক্রিপার কোনো ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়নি। ক্রিপারের এই বার্তার উপর ভিক্তি করেই দুনিয়ার প্রথম এন্টিভাইরাস  “দ্যা রিপার” তৈরি করা হয়! দ্যা রিপার এন্টিভাইরাসও সিস্টেমের সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়ে ক্রিপার ভাইরাসকে সনাক্ত করে সেটিকে মুছে দেয়।

প্রথম ইউটিউব ভিডিও (২০০৫):

The first YouTube video এর ছবি ফলাফল

জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের সর্বপ্রথম ভিডিও কোনটি সেটি জানেন কি?? সাইট নির্মাণের পর ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল “Me at the zoo” শিরোনামে একটি ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করা হয়। এবং এই ভিডিওটিই হচ্ছে ইউটিউবের সর্বপ্রথম ভিডিও! এই ভিডিওটি স্যান ডিয়াগোর চিড়িয়াখানায় হাতিদের সামনে থেকে শুট করা হয়েছিল। ভিডিওটি হাস্যকর হলেও এই টিউনটি লেখা পর্যন্ত ভিডিওটি 43,590,133 বার দেখা হয়েছে!! কি আজব তাই না??


তো আজকের এই ইন্টারনেটের সর্বপ্রথম কিছু বিষয় নিয়ে আরটিকেলটি শেষ করছি এখানেই ! আরটিকেলটি সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন! আজ এ পর্যন্তই। আরটিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

 

অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যার সমাধান জেনে নিন

পাকা চুলের সমাধান

অকালে চুল পেকে যাবার মতো বিব্রতকর সমস্যায় ভুগতে হয় অনেকেই। এই সমস্যাটি যে কোন বয়সের ছেলে অথবা মেয়ের  দেখা দিতে পারে। অকালে চুল পেকে যাবার পেছনে থাকতে পারে বিশেষ কিছু কারণ। তার মাঝে অন্যতম কিছু কারণ হল জিনগত সমস্যা, বংশগত সমস্যা, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, চুলে মেলানিনের অপ্রাতুলতা প্রভৃতি। এছাড়াও আরও অনেক কারণে চুল পেকে যাবার সমস্যাটি দেখা দেয়। 

যাদের অকালে চুল পেকে যাবার সমস্যাটি রয়েছে তারা অনেক সময় এ থেকে পরিত্রান পাবার উপায় খুঁজে থাকেন,কিন্তু সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না। আজকের এই লেখাতে আমি খুব সহজ কিছু উপাদান ব্যবহার করে সহজ উপায়ে চুল পেকে যাবার প্রতিকার তুলে ধরলাম। এই সকল উপাদান চুলে পুষ্টি জোগাতে এবং চুলে মেলানিন এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে সাদা হয়ে যাওয়া চুল গাঢ় হতে শুরু করে।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজে থাকা কিছু বিশেষ এনজাইমের জন্যে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়। ক্ষেত্র বিশেষে বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল কালো হতে শুরু করে। নিয়মিত ভিত্তিতে চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে খুব ভালো ও দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব হয়।

ব্যবহারবিধি

পেঁয়াজ ছেঁচে নিয়ে তার রস চুলের গোঁড়ায় সরাসরি লাগাতে হবে। পুরো মাথার চুলে পেঁয়াজের রস লাগানো হয়ে গেলে ২০-৩০ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা অথবা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যাবে।

রঙ চা

রং চা সাদা হয়ে যাওয়া চুলের সমস্যা দূর করতে এবং চুলের রঙ গাড় করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে। এটা চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

এক কাপ পরিমাণ রঙচা তৈরি করে সেটা ঠাণ্ডা করে এরপর চুলে দিতে হবে। চুলে পানিটি দেওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট সময় অপেক্ষা করে এরপর সাধারণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

মেহেদীপাতা

চুলের পেকে যাওয়ার সমস্যার ক্ষেত্রে অন্যতম সহজ সমাধান হলো মেহেদীপাতা ব্যবহার করা। সাদা হয়ে যাওয়া চুলকে একদম গোঁড়া থেকে পুষ্টি জোগাতে এবং চুলের সাদাভাব ঢেকে ফেলতে মেহেদীপাতা সবচাইতে দারুণ কাজ করে। চুলের পাকাভাব কমানোর পাশাপাশি চুলকে শক্ত করার জন্যেও মেহেদীপাতা দারুণ উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান।

ব্যবহারবিধি

মেহেদীপাতা ভালোভাবে বেটে নিয়ে সেটা চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে একদম আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর এক ঘণ্টা সময় কিংবা তারও অধিক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যেন চুলের মেহেদী বাটা শুকিয়ে আসে। শুকিয়ে গেলে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

আমলকী

চুলের যেকোন সমস্যার ক্ষেত্রে আমলকীর ব্যবহার অগন্য। আমলকী রক্ত চলাচলের উপর প্রভাব ফেলে থাকে বলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। একইসাথে প্রাকৃতিক এই উপাদান চুলের মেলানিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

নারিকেল তেলের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে নিয়ে হালকা তাপে গরম করতে হবে। এরপর কুসুম গরম আমলকী তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ম্যসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে এক ঘণ্টা মাথায় তেল রেখে দেওয়ার পর হারবাল যেকোন শ্যাম্প্যু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই উপায়ে আমলকী তেল তৈরি করে চুলে যত্ন করে লাগালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা কমে যাবে এক মাসের মাঝেই।

আলুর খোসা

জনপ্রিয় সবজী আলু আমাদের সবার বাসাতেই থাকে। আলুর খোসা ছিলে ফেলার পর নিশ্চয় ফেলে দেওয়া হয়। তবে আজকে আলুর খোসার চমৎকার এই ব্যবহারটি জানার পরে আলুর খোসা আর ফেলে দেবার প্রয়োজন হবে না। আলুর মতো আলুর খোসাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ অথবা শ্বেতসার। যা খুব দারুণভাবে চুলের পেকে যাবার সমস্যার ক্ষেত্রে সমাধান স্বরূপ কাজ করে থাকে।

ব্যবহারবিধি

এক মুঠো  আলুর খোসা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট সময় পর চুলার আগুন বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর পাতিলের পানি ঠাণ্ডা করে ফেলতে হবে। আলুর খোসাগুলো ছেঁকে ফেলে দিয়ে এই পানিটি দিয়ে চুল খুব ধীরে ধীরে ধুয়ে ফেলতে হবে। পাঁচ মিনিট সময় চুলে এই পানি রেখে দেবার পর হালকা উষ্ণ পানির সাহায্যে চুল আবারও ধুয়ে ফেলতে হবে।


শীত কালে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অসাধারণ কিছু জায়গা

Lala-Khal ‍sylhet

বাংলাদেশ এমন একটি  মনোমুগ্ধকর দেশ যেখানে এক এক সময়ে বিভিন্ন মৌসুমের মজা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়।  শীত কাল আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত প্রকারের  ঠান্ডার অনুভূতি নিয়ে আসে। এই সময়েই পর্যটন এলাকাগুলোতে দেখা যায় প্রচুর পরিদর্শকের  ভিড়।  শীত কালে অলসতার চাদর খুলে আসুন ঘুরে আসি এমন সব জায়গায়।

লালাখাল
লালাখাল

লালাখাল
সিলেটের অপূর্ব এক নদীর নাম লালাখাল। ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে এই নদীর উৎপত্তি। শীতের সময় চমৎকার নীল বর্ণ ধারণ করে নদীর জল। এই সময় লালাখাল দেখা তাই মিস করা ঠিক নয় একদমই। আর সিলেট মানেই তো মেঘ পাহাড়ের মিতালী। দূরে পাহাড়ের সারি, ভেসে চলা মেঘ আর খুব কাছে নীলাভ সবুজ লালাখালের জল এর মাঝে নৌকায় ভেসে চলা এ যেন স্বর্গীয় এক সময়ের অবতাড়ণা।

কক্সবাজার
কক্সবাজার

কক্সবাজার
শীতে কক্সবাজারকে এক অন্য রুপে দেখা যায়। যেহেতু এই মৌসুমে কক্সবাজারকে দেখতে এক অন্যরকম রুপে দেখা যায়, হিমেল হিমেল বাতাস অন্যদিকে সমুদ্র থাকে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শান্ত প্রকৃতির। বিশেষ করে  শীতের সকালে হালকা রৌদ্র আবহাওয়ায় সমুদ্র সৈকতকে এক অন্যরকম দেখতে। ঠিক এই সময়টাই সমুদ্র সৈকতে  নানা দিক থেকে  আসা পাখির ঢল দেখা যায়। পর্যটকদের জন্য রয়েছে সব প্রকারের সুযোগ সুবিধা। এই সময়ে পর্যটকদের প্রতি লক্ষ করে সিকিওর সিস্টেম আরো জোরদার করা হয়।

সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিন

সেন্টমার্টিন
‌যদি আপনি বিকেলের অপুর্ব দৃশ্য মিস করতে না চান এবং যদি আপনি শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন যেখানে রয়েছে  নিবুনিবু সুর্য ডুবার দৃশ্য।সুর্যাস্তের সময় সমস্ত সেন্টমার্টিনের চেহারাটাই পালটে দেয়। অন্যদিকে পর্যটক কম থাকায় সেন্টমার্টিনের বিচে পাওয়া যায় শান্ত প্রকৃৃতির দেখা। সেন্টমার্টিনে এখন শুরু হয়েছে রোমাঞ্চকর স্কুবা ডাইভিং। নীল সমুদ্রের গহিনে চলে যেতে পারবেন আপনি। উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের নীচের জগত। যারা স্কুবা করতে চান না তারা স্নোরকেলিং করতে পারেন। ভাটার সময়টায় হেঁটেই যেতে পারবেন ছেঁড়া দ্বীপ। সারা বিচে বিছানো চিকচিকে সাদা বালি, তার ফাকে ফাকে নানা রঙের শামুক ঝিনু্কে। সব মিলিয়ে পাওয়া যায় অন্যরকম জগত।

কুয়াকাটা এর ছবি ফলাফল
কুয়াকাটা

কুয়াকাটা
সুর্যের দুটি মনোরম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে কুয়াকাটা নাম সবার আগে। কারন এক দিকে রয়েছে সমুদ্র সৈকতের শো শো আওয়াজ এবং অপরদিকে রয়েছে সুর্যদয় এবং সুর্যাস্তের এক অপরুপ দৃশ্য।
পর্যটকের আনাগোনা কম থাকায় সমুদ্র সৈকত থাকে শান্ত প্রকৃতির। শুধু কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতেই নয় দেখার মত আছে ফাতরার বন, চর গঙ্গামতি, সীমা বৌদ্ধমন্দির, মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধমন্দির ইত্যাদি।

সুসং দুর্গাপুর নীল জলের কেয়ারি লেক এর ছবি ফলাফল
সুসং দুর্গাপুর নীল জলের কেয়ারি লেক

সুসং দুর্গাপুর নীল জলের কেয়ারি লেক

এখানে আছে চমৎকার একটি নীল জলের লাইমস্টোন লেক। বিরিশিরি নামেই খুব বেশি পরিচিত জায়গাটি। লেকের অদ্ভুত রং, লেক ঘেষা বর্ণিল মাটির পাহাড় সবকিছুই অনন্য করেছে জায়গাটিকে। কিন্তু জলের এই রং দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কিন্তু শীতকাল। এখানে লাইমস্টোন লেক ছাড়াও দেখার আছে সোমেশ্বরী নদী, সুসং রাজার বাড়িসহ আরও অনেক কিছু। আর এমন জায়গায় যেতে কারি মন না চায় যেখানে শুধু রয়েছে শান্তির খনি অপরূপ দৃশ্যের ভান্ডার। আজি বেরিয়ে যান এরকম অমুল্য ভান্ডারের খোজে।