বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো আকর্ষনীয় স্থান সমূহের নাম | Part: 1

আজ আপনাদের দেখাবো বাংলাদেশে ঘুড়ে বেড়ানোর জন্য চমৎকার কিছু স্থান। আপনারা অবসরে এগুলো থেকে সহজেই ঘুরে  আসতে পারেন। (লেখাটি অনেক বড় হয়ে গেছে তাই  দুটি অংশে ভাগ করে লেখা হয়েছে ২য় অংশটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন : বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো আকর্ষনীয় স্থান সমূহের নাম | Part: ২)

১) সিলেট এর – হযরত শাহ্ জালাল (রহঃ) মাজার, হযরত শাহ্ পরান (রহঃ) মাজার, হযরত শাহ্ জালাল (রহঃ) বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চিড়িয়াখানা, সুরমা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য), শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, তামাবিল, জাফলং, লালখাল, বিছানাকান্দি নদী, হাকালুকির হাওর, রাত্তারগুল, সোয়াম্প ফরেষ্ট, ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারী, উতমাছড়ার পাথররাজ্য, জাকীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, যাদুকাটা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য), ড্রিমলেন্ড ওয়াটার পার্ক।
বিশেষত্বঃ সিলেট এর – কমলালেবু, আনারস ভালো, চা এর জন্য প্রশিদ্ধ এবং শ্রীমঙ্গলের সাত রং এর চা  ।

২)দিনাজপুর এর –রামসাগর দিঘী, কবিগুরু রবীন্দনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী।
বিশেষত্বঃ কাটারীভোগ চাল, চিড়া, পাপড় ভালো, সুমিষ্ট লিচুর জন্য প্রশিদ্ধ ।

৩)পঞ্চগড় এর – গাজী চা বাগান, বাংলাবান্দা স্হল বন্দর।
বিশেষত্বঃ এর – চা ভালো ।

৪) রংপুর এর – পায়রাবন্দ জমিদার বাড়ী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, তাজহাট জমিদার বাড়ী (বর্তমানে যাদুঘর হিসাবে ব্যবহ্ত হচ্ছে), টেপাঠাকুর জমিদার বাড়ী, মন্থনার জমিদার বাড়ী, পীরগাছার দেবী চৌধুরাণীর রাজবাড়ী, ইটাকুমারীর জমিদার শিবচন্দ্র রায় এর রাজবাড়ী, চিকলির বিল, হযরত কেরামত আলী জৌনপুরী (রহঃ) মাজার ও মসজিদ, রংপুর চিড়িয়াখানা, রংপুর মেডিকেল কলেজ, শতবষী’ কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঘাঘট প্রয়াস পার্ক, শিরীন পার্ক, কাউনিয়ার আনন্দ মঠ, নিসবেতগঞ্জের শতরঞ্জী পল্লী, পাগলাপীরে ভিন্নজগৎ পার্ক, আনন্দনগর, জলঢাকার তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প, রংপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
বিশেষত্বঃ শ্যামপুর চিনিকলের চিটাগুড় ভালো, আখ, হাড়ি ভাঙ্গা আম, শতরঞ্জি, তামাকের জন্য প্রশিদ্ধ ।

৫)গাইবান্ধা এর – যমুনা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য), ফুলছড়ি বালাসীঘাট (রেলওয়ে ওয়াগন ঘাট)।
বিশেষত্বঃ গাইবান্ধা এর- রসমুঞ্জরী ভালো ।

৬) নীলফামারী এর – নীলসাগর, ফুলবাড়ীর স্বপ্নপুরী থীম পার্ক।
বিশেষত্বঃ পিঠাপুলি, গমের জন্য প্রশিদ্ধ ।

৭) নাটোর এর – কবিগুরু রবীন্দনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ীল।
বিশেষত্বঃ নাটোর এর – কাঁচাগোল্লা ভালো ।



৮) রাজশাহী এর – হযরত শাহ্ মখদুম (রহঃ) মাজার, হযরত শাহ্ দৌলা (রহঃ)ও তাঁর ছেলে শাহ্ আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ (রহঃ) মাজার, বাঘার পাঁচশত বছরের সুপ্রাচীন মহল পুকুর দীঘি, বরেন্দ্র যাদুঘর, পদ্মা নদীর তীরস্হ শহর রক্ষা বাঁধ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আম্রবাগান, বিখ্যাত ফজলী আমের বাগান, পুটিয়া রাজবাড়ী, চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হযরত নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রহঃ) এর মাজার।
বিশেষত্বঃ রাজশাহী এর কালাই রুটি, লিচু ভালো, শিল্ক বস্ত্র, ফজলী আমের জন্য প্রশিদ্ধ ।

৯) নওগাঁ এর – পাহাড়পুর বৈদ্ধ-বিহার।

১০) বগুড়া এর – মহাস্হানগড় যাদুঘর, বেহুলা সুন্দরীর বাসরঘর, করতোয়া নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য)।
বিশেষত্বঃ বগুড়া এর মালভোগ কলা ভালো, কুমড়া বড়ি, দই এর জন্য প্রশিদ্ধ ।

১১) পাবনা এর – চরনবিল, রাজেন্দ্রমোহন জমিদার বাড়ী, পাকশি ব্রিজ, পদ্মা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য)।
বিশেষত্বঃ পাবনা এর – ঘি ভালো, লঙ্গি গামছার জন্য প্রশিদ্ধ ।

১২) সিরাজগজ্ঞ এর – যমুনা বহুমুখী সেতু, যমুনা রিসোট।
বিশেষত্বঃ সিরাজগজ্ঞ এর – মাখন ভালো, ধানশিঁড়ির দই, লুঙ্গি, গামছা এর জন্য প্রশিদ্ধ ।

১৩) টাঙ্গাইল এর – মহেরাপ্যালেস রাজবাড়ী, ধনবাড়ি জমিদার বাড়ী, আনসার এন্ড ভি.ডি.পি একাডেমী, মধুপুরের গড়।
বিশেষত্বঃ টাঙ্গাইল এর – চমচম ভালো, তাঁতের শাড়ী, লুঙ্গির জন্য প্রশিদ্ধ ।

১৪) নরসিংদী এর – উয়রি ও বটেশ্বর গ্রামের প্রত্নতত্ত্ব, ড্রীম হলিডে এমিউসমেন্ট পার্ক, মাধবদীর বালাপুর লক্ষন সাহার জমিদার বাড়ী, নবীন সাহার জমিদার বাড়ী।
বিশেষত্বঃ নরসিংদী এর – দধি, কলা ভালো, ড্রাগন ফলের জন্য প্রশিদ্ধ ।

১৫) গাজীপুর এর – ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট সন্নিহিত এলাকা, “ফেন্টাসী কিংডম” এমিউজমেন্ট পার্ক, নন্দন পার্ক, বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, নূহাষ পল্লী, কালিয়াকৈর ঢাকা রিসোট’, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউট, কালিগঞ্জের কাছে পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজার সংলগ্ন লক্ষ্মণ সাহার জমিদার বাড়ি।
বিশেষত্বঃ গাজীপুর এর – কাঁঠাল, পেয়ারা ভালো ।

১৬) ঢাকা এর – লালবাগের দুগ’, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, হোসনী দালান, আহসান মঞ্জিল, চীন বাংলাদেশ মৈত্রী (বুড়িগঞ্জা) সেতু, শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর, জাতীয় শিশু পার্ক, হাতীরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজ’ন হল, ভাষা শহীদ মিনার, জাতীয় তিন নেতার সমাধী, মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা ও সন্নিহিত বোটানিক্যাল গাডে’ন, মিরপুর সামরিক যাদুঘর ও বিমান বাহিনী যাদুঘর, আগারগাঁ বিজ্ঞান যাদুঘর, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, বলধা গাডে’ন, জাতীয় সংসদ ভবন, চদ্রিমা উদ্যান, সরোওয়াদি’ উদ্যান ও মুক্তিযুদ্ধের শিখা চিরন্তন, রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবি স্মৃতিস্তম্ভ, সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধ, সাভারের সাদুল্লাপুর গোলাপ গ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভারের বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই)লেক, হযরত শাহজালাল আন্তজা’তিক বিমান বন্দরের সুবিশাল ঝিল।
বিশেষত্বঃ ঢাকা এর – বাঁকরখানী ভালো, মিরপুর বেনারসী শাড়ীর জন্য প্রশিদ্ধ ।

১৭) নারায়নগঞ্জ এর – সিদ্ধিরগজ্ঞ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সিদ্ধিরগজ্ঞ জামদানী শাড়ী পল্লী, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা, বাংলার তাজমহল, পানাম সিটি, সোনারগাঁ পল্লী যাদুঘর, নবাবগঞ্জ জমিদার বাড়ী, রুপগঞ্জের মুড়াপাড়া রাজবাড়ী, শীতলক্ষা নদী।
বিশেষত্বঃ নারাযনগঞ্জ এর – গেঞ্জি, গামছা ভালো, সিদ্ধিরগঞ্জ জামদানী শাড়ীর জন্য প্রশিদ্ধ ।

১৮) কুমিল্লা এর – ধম’সাগর, কবি নজরুল ইসলাম যাদুঘর, কোটবাড়ী পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, শালবন বৈদ্ধ-বিহার, রুপবান মুরা, ইটাখলা মুরা, নুরজাহান ইকো পার্ক, ব্লু- ওয়াটার পার্ক, লালমাই পাহাড়, ময়নামতির সেকেন্ড ওয়াল্ড’ ওয়ার সেমিট্রি, দাউদকান্ধীর মেঘনা-গুমতী নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য)।
বিশেষত্বঃ কুমিল্লা এর – মাতৃভান্ডারে রসমালাই, পেড়া ভালো, কারু পণ্য, খাদি খদ্দর বস্ত্রের জন্য প্রশিদ্ধ।

১৯) চাঁদপুর এর – পদ্না-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গমস্হল, পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশন, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ,
বিশেষত্বঃ চাঁদপুর এর – তরমুজ, তাজা ইলিশ মাছ ভালো ।

২০) ময়মনসিংহ এর – ত্রিশালে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, গজনী অবকাশ কেন্দ্র, মধুটিলা ইকো পার্ক।

বিশেষত্বঃ জামালপুর এর – ছানার পোলাউ, ছানার পায়েস ভালো, মুক্তাগাছার মন্ডা ভালো ।

২১) কিশোরগজ্ঞ এর – ভৈরব সড়ক ও রেল সেতু, মেঘনা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য)।
বিশেষত্বঃ বাহ্মন-বাড়িয়া এর – দুধের সন্দেশ, তালের বড়া ভালো, বালিশ মিষ্টি ভালো ।

২২) সুনামগঞ্জ  এর- শিমুল বাগান, টাঙ্গুয়ার হাওর, জাদুকাটা নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য)।
বিশেষত্বঃ সুনামগজ্ঞ এর – চা, কমলা, বাতাবী লেবু, ভালো ।

২৩) মৌলভীবাজার এর- শমশেরনগর ডানকান লেক, হাইল-হাওরের বাইক্কার বিল, মাধবকুন্ড প্রাকৃতিক ঝরণা, মাগুরছড়া ন্যাশনাল পার্ক, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।
বিশেষত্বঃ মৌলভীবাজার এর – কমলালেবু, ম্যানেজার ষ্টোরের রসগোল্লা ভালো ।



২৪) চট্রগ্রাম এর – বড়তাকিয়ার খৈয়াছড়া ঝর্না, নাপিত্তাছড়া ঝর্না, সীতাকুন্ড চন্দ্রোনাথ পাহাড় ও ইকোপার্ক, মহামায়া রবারডেম প্রকল্প মিরসরাই, বড় দারোগারহাট কমলদহ ঝর্না, সুপ্তধারা ঝর্না, সহস্র ধারা ঝর্না, ফৌজদারহাট গল্ফ ক্লাব, কুমিরা ঘাট, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, ক্যাফে ২৪, খেজুরতলা বীচ, ফৌজদারহাট শীপ ব্রেকিং ইয়াড’, ভাটিয়ারী লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, গোল্ডন সী বিচ, হযরত শাহ্ আমানত (রহঃ) আন্তজাতি’ক বিমান বন্দর, প্রজাপতি পার্ক, নেভাল একাডমী, বাঁশখালী ইকোপার্ক, ফইল্লাতলী সাগরের পাড় ও ম্যানগ্রোভ বন, অভয়মিত্র ঘাট, চট্রগ্রাম নৃ-তাত্নীক যাদুঘর, রেলওয়ে সদর দপ্তর (সি.আর.বি) ও রেলওয়ে জাদুঘর, ঝাউতলা আবহাওয়া অফিস ও ব্র্যাক এর পাহাড়, ফয়েজলেক ওয়াটার ওয়াল্ড’ এন্ড এমিউসমেন্ট পার্ক, চট্রগ্রাম চিড়িয়াখানা, বাটালী পাহাড় (বিজয় স্তম্ভ), জিলাপী পাহাড়, ডি.সি হিল, কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ, কালুরঘাট রেল সেতু, ফিরিঙ্গিবাজার ব্রীজ ঘাট/ফিসারী ঘাট (নৌ- ভ্রমন পিয়াসুদের জন্য), জাতিসংঘ পার্ক, বিপ্লব উদ্যান, সেকেন্ড ওয়াল্ড’ ওয়ার সিমেট্রি, হালদা নদী, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সন্নিহিত এলাকা, হযরত শাহ্ আমানত (রহঃ) মাজার, হযরত গরীবুল্লা শাহ্ (রহঃ) মাজার, ফটিকছড়ির হযরত মাইজভান্ডার (রহঃ) দরগাহ্ কমপ্লেক্স, রাঙ্গুনিয়া ইকো পার্ক, কাপ্তাই ন্যাশনাল ফরেষ্ট, কাপ্তাইয়ের বিলাইছড়ি ধুপপানি ঝরণা, রাঙ্গুনীয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রোঘোনা কণ’ফুলী কাগজ কল, বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাকৃতিক ঝরণা, ফটিকছড়ির চা-বাগান, কর্ণফুলি চা বাগান, খৈয়াছড়া চা বাগান, উদালিয়া চা বাগান, বারমাসিয়া চা বাগান, এলাহীনুর চা বাগান, রাঙাপানি চা বাগান, আছিয়া চা বাগান, নাছেহা চা বাগান, দাঁতমারা চা বাগান, হালদা ভ্যালী চা বাগান, পঞ্চবটি চা বাগান, মা জান চা বাগান, মোহাম্মদনগর চা বাগান, নেপচুন চা বাগান, রামগড় চা বাগান, আনোয়ারার হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহঃ) মাজার, পারকি বীচ।
বিশেষত্বঃ চট্রগ্রাম এর – মধুবনের মিষ্টি, গণি বেকারীর বেলা বিস্কুট, লবণ, সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি ভালো, ফটিকছড়ির মিষ্টি মরিচ, বাশখালীর লিচু, মেজবানী মাংসের ভোজের এর জন্য প্রশিদ্ধ ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: উল্লেখিত জেলা বা বিভাগ সমূহে যদি কোনো আকর্ষনীয় বা পর্যটন স্থান বাদ পরে থাকে এবং কোন ভূল হয়ে থাহলে আমাদের জানাবেন)

(২য় অংশটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন : বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো আকর্ষনীয় স্থান সমূহের নাম | Part: ২)

বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো আকর্ষনীয় স্থান সমূহের নাম | Part: 2

১) কক্স-বাজার  পৃথিবীর দীর্ঘতম (প্রায় ১২০ কি.মি দৈঘ্যের) সমুদ্র সৈকত, (ইনানী বিচ, কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্ট ইত্যাদি অন্যতম), কক্রেসবাজার বাতিঘর, ডি.সি পাহাড়, মরিচ্চ্যা, হীমছড়ি,বাজারঘাটা বামি’জ মাকে’ট, ডুলাহাজারাস্হ বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, রামুর সেনানিবাস কতৃ’ক পরিচালিত অবকাশ কেন্দ্র ও বোটানিক্যাল গাডে’ন, গোয়ালিয়াপাড়ার বৈদ্ধ ধমা’বলম্বীদের মন্দির/পেগডা, কুতুবদিয়ার হযরত মালেক শাহ (রহঃ) মাজার, কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেষখালির আদিনাথ মন্দির, টেকনাফের বিচ ও নাফ নদীর মোহনা, মাথি’নের কুপ, নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত সেন্টমাটি’ন দ্বীপ, শাহ্ পরীর দ্বীপ, ছেরাদ্বীপ, বাংলা চ্যানেল খ্যাত সোনাদিয়া দ্বীপ,
বিশেষত্বঃ কক্রবাজার এর- সামুদ্রিক শামুক, ঝিনুকের অলংকার, মুক্তা, শুঁটকি, লবণ, সুপারী, টেকনাফ এর মহেষখাইল্লা মিষ্টি পান, আচার ভালো, চিংড়ী, লৈট্টা মাছ, তরমুজ, প্রসিদ্ধ ।

২) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা এর – ডিসির বাংলো পার্ক, টুকটুক ইকো ভিলেজ, পলওয়েল পার্ক, নীলগঞ্জ, রাজবন বিহার, পাহাড় বেষ্টিত কাপ্তাই হ্রদ, চাকমা রাজার রাজবাড়ী, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রব এর সমাধীস্হান, সুবলং প্রাকৃতিক ঝণা’, প্যাদা ডিংডিং, মাটিরাঙ্গা রিজাভ’ ফরেষ্ট, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, নানিয়ার চর, লংগদু,

বিশেষত্বঃ জামবুরা, আনারস, কাঁঠাল, কলা ভালো, বুননের (তাঁতের) কাপড়ের জন্য প্রশিদ্ধ ।

৩) বান্দরবান পার্বত্য জেলা এর – প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, মেঘলা পার্ক, গোল্ডেল টেম্পল, নীলাচল, চিম্বুক পাহাড়, বিজয়শৃঙ্গ (কেওকারাডং), নীলগিরি, থানচি, আলিকদম, লামার ডলুছড়ি মৌজার মেরিডিয়ান আম্রপালি আম, কমলা, রাবার বাগান, চিচিং-ফাঁক সুরঙ্গ, কোয়ান্টাম শিশু-কানন ও রিসোট’, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী (পাহাড়ী খরস্রোতা নৌ-পথে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য),
বিশেষত্বঃ বান্দরবান পা. জে এর – রাবার, তামাক ভালো ।

৪) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা এর – কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, আলুটিলা প্রাকৃতিক সুরঙ্গ, গিরিসোভা হ্রদকে ঘিরে সেনাবাহিনী কতৃ’ক পরিচালিত অবকাশ কেন্দ্র, সাজেক ভ্যালী (সেনাবাহিনী কতৃ’ক পরিচালিত একটি অবকাশ কেন্দ্র), নুনছড়ির দেবতা পুকুর, মারিষ্যা ভ্যালী, রিং-ঝরণা, তবলছড়ি ঝণা’, তাইন্দুছড়া ঝণা’, রিছাং ঝণা’, দীঘিনালার তৈদুছড়া ঝণা’, হাতির মাথা পাহাড়, চেঙ্গী নদী (পাহাড়ী খরস্রোতা নৌ-পথে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য),
বিশেষত্বঃ খাগড়াছড়ি এর – মসল্লা বিশেষ করে হলুদ প্রশিদ্ধ ।

৫) পটুয়াখালী এর – পায়রা নদী বন্দর, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত,
বিশেষত্বঃ পটুয়াখালী এর – নারিকের, সুপারী ভালো, বরিশাল এর আমড়া ভালো ।

৬) খুলনা এর – নিউজপ্রিন্ট মিল, খাঁন জাহান আলী (রহঃ) এর মাজার, মংলা সমুদ্র বন্দর, ষাট গুম্বুজ মসজিদ, লড’ হাডিং রেলসেতু,
বিশেষত্বঃ খুলনা এর – নারিকেল, গলদা চিংড়ি, সুন্দরবনের গেওয়া কাঠ, মধু ভালো ।

৭) যশোর – এর- ঝিগরগাছা ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালী, শশা’, জামতলা ফুল বাজার, বেনাপোল, চাঁচড়া মন্দির, কেসবপুরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের বসতভিটা,
বিশেষত্বঃ যশোর এর – পাঁটালী গুঁড়, বিন্নি ধানের খৈ ভালো, জামতলার মিষ্টির জন্য প্রশিদ্ধ ।

৮) বাগেরহাট এর – সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, শ্যালা নদী, চিত্রা খাল, চিত্রা সুন্দরী বন, হরিণঘোনা, চানপাই রিজাভ’ ফরেষ্ট, হার-বাড়িয়া, কঁচিখালী, কটকা, দুবলার চর,

বিশেষত্বঃ বাগেরহাট এর – মধু, চিংড়ি, সুপারী ভালো, গেওয়া কাঠের জন্য প্রশিদ্ধ, সাতক্ষীরা এর – দুধের সন্দেশ ভালো ।

৯) ভোলা এর – চর কুকরি মুকরি, চর মনপুরা,
বিশেষত্বঃ ভোলা এর – নারিকেল, মহিষের দুধের দই, সন্দীপ এর –তরমুজ, বাঙ্গি, ভালো,

১০) নোয়াখালী এর – চর হাতিয়ার, নিঝুম দ্বীপ, চর আলেকজান্ডার, সুবণ’ চর,
বিশেষত্বঃ নোয়াখালী এর – নারিকেলের নাড়ু, ভাপা-পিঠা ভালো, লক্ষীপুর এর – সুপারী ভালো, হাতিয়া এর – মৈষের দুধের পনির, মাখন ভালো ।

১১) মানিকগঞ্জ – এর – সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ী, শিবালয়ে তওতা জমিদার বাড়ী, আরিচা-নাটিখোলা, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া বিস্তৃণ’ নৌপথ, (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য),
বিশেষত্বঃ মানিকগঞ্জ এর – খেজুরের গুড়, মহিষের দুধের দই ভালো ।

১২) রাজবাড়ী এর– দুগা’সাগর দীঘি,
বিশেষত্বঃ রাজবাড়ী এর – চমচম, খেজুরের গুড় ভালো ।

১৩) কুষ্টিয়া এর – লালন শাঁই এর আখরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, মীর মোসার্রফ হোসেনের বসতভিটা, উত্তরা গণভবন, মেহেরপুরের আম্রবাগান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের যাদুঘর, সেতাবগঞ্জ চিনিকল, গড়াই নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য),
বিশেষত্বঃ মেহেরপুর এর- মি্ষ্টি সাবিত্রি, রসকদম্ব ভালো, তিলের খাজা, পোড়াবাড়ীব চমচম ভালো, ঝালকাঠি এর – লবন ভালো,

১৪) ফেনী এর – মান সিংহের দীঘি, মুহুরী সেচ প্রকল্প, ফেনী ও মাতামুহুরী নদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য),
বিশেষত্বঃ ফেনী এর – মহিষের দুধের ঘি, খন্ডলের মিষ্টি ভালো ।

১৫) মুন্সিগঞ্জ – এর- পদ্মানদী (নৌ-পথে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য), জাজিরায় পদ্নাসেতু প্রকল্প এলাকা,
বিশেষত্বঃ মুন্সিগঞ্জ এর – ভাগ্যকুলের মিষ্টি ভালো ।

১৬) গোপালগঞ্জ এর – বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সমাধী কমপ্লেক্স, ইত্যাদি অন্যতম দর্শনিয় স

১৭) পিরোজপুর এর – নারিকেল, সুপারী, আমড়া ভালো ।

১৮) ফরিদপুর এর – খেজুরের গুড়, মৈষের দুধের দই ভালো ।

১৯) নেত্রকোনা এর – বালিশ মিষ্টি ভালো ।

২০)  নড়াইল এর – পেড়ো সন্দেশ, খেজুরের গুড়ের জন্য প্রশিদ্ধ ।

২১) মাগুরা এর – রসমুঞ্জরী ভালো ।



২২) মাদারীপুর এর – খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা ভালো ।

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র যা সঙ্গে নেওয়া অত্যাবশ্যকঃ

কাধে সহজে বহনযোগ্য বা চাকাযুক্ত একটি ব্যাগে

১. একটি ডিজিটাল (ডি.এস.এল.আর) ক্যামেরা
২. মোবাইল ফোন
৩. মোবাইল ও ক্যামেরার ব্যাটারী চাজা’র
৪. চশমা,
৫. সানগ্লাস
৬. ঘড়ি
৭. কম্পাস ৮. কলম ৯. দূরবিক্ষণ যন্ত্র ১০. দূরত্ব ও স্থান বুঝে পর্যাপ্ত নগদ ভাংটি টাকা ১১. ক্রেডিট কাড’(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ১২. ক্যামেরার ম্যামরী কাড’/এস.ডি কাড’, ১৩. ল্যাপটপ কম্পিউটার ১৪. ইন্টানেট মডেম ১৫. টচ’লাইট ১৬. ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ডায়রী ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ১৭. একখানা ফল্ডিং ছাতা ১৮. গেঞ্জি, আন্ডাওয়ার, তোয়ালা, রুমাল, টি-শাট’, ট্রাউজার, প্যান্ট, শাট’ ১৯. ত্রি-কোয়াটার প্যান্ট ও বেল্ট, ২০. ছোট ধারালো ছুরি ও নেইলকাটার, ২১. ম্যাপ ২২. কলম ২৩. দিয়েশলাই ২৪. জীবন রক্ষাকারী কিছু অতি-প্রয়োজনীয় ঔষধ, ২৫. স্যালাইন ২৬. টুথপেষ্ট ২৭. টুথ ব্রাশ, সেভিং রেজর ও ফোম, ২৮. এক জোড়া কেটস্,+স্পঞ্জ ২৯. পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ৩০. গরম পোশাক, কম্বল (শীত মৌসুমে) ৩১. বালিশ, মশারী, মোমবাতি, ৩২. তাবু, দড়ি, শক্ত লাঠি (পাহাড়ে ও জঙ্গলে ভ্রমণকারীদের জন্য), ইত্যাদি উপকরণ সঙ্গে নিতে ভূল করবেন না ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: উল্লেখিত জেলা বা বিভাগ সমূহে যদি কোনো আকর্ষনীয় বা পর্যটন স্থান বাদ পরে থাকে এবং কোন ভূল হয়ে থাহলে আমাদের জানাবেন)

মোবাইল নেটওয়ার্কের বিবর্তন:১৪ কেবিপিএস থেকে ১জিবিপিএস পর্যন্ত | Evolution of mobile networks

মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু। এটি দ্বারা আমরা কথা বলতে পারি, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি, ইন্টারনেট থেকে গান, ভিডিও বা সিনেমা নামাতে পারি। অবশ্য সব মোবাইল দ্বারা এসব কাজ করা যায় না। মোবাইল ফোনের প্রকারভেদে এর কাজের পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু সব মোবাইলের মধ্যে একটা কমন ব্যাপার হলো এর নেটওয়ার্ক সিস্টেম। নেটওয়ার্ক কানেকশন ছাড়া অনেক ফোনে কিছুই করা যায় না। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে হলে আমাদের অবশ্যই একটি সিম(SIM-Subscriber Identity Module) কার্ড/ওয়াই ফাই সুবিধা দরকার হবে। অবশ্যই যেই কোম্পানির সিম কিনবো ওই কোম্পানিই আমাদের নেটওয়ার্ক প্রদান করবে এবং আমরা দুর থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো। এখন যেই মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করি তা হলো তারবিহীন মাধ্যম। ওয়াই ফাই এর ক্ষেত্রে ভিন্ন হিসেব। সেখানে তার দিয়ে লাইন টেনে নির্দিষ্ট একটি এরিয়াতে রাউটার দিয়ে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস দেয়া হয়। তাড়িতচুম্কব তরঙ্গ ব্যাবহার করে এটি তথ্য আদান প্রদান করে।

মোবাইল ফোনের বিবর্তন:১৯৮৩ থেকে আজ পর্যন্ত। The evolution of mobile phones

The evolution of mobile phones: খাওয়া-দাওয়া এবং কাপড়চোপড়ের পর আজকাল আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বস্তুটি কি?? উত্তর- মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে এতটাই সহজ করে দিয়েছে এবং দরকারি স্থান দখল করেছে যে মোবাইল ছাড়া এখন আমরা একটি মুহুর্তও কল্পনা করতে পারিনা।কারো সাথে যোগাযোগ করতে হবে? আমরা সশরিরে তার সামনে উপস্থিত না হয়ে আশ্রয় নেই মোবাইল কল বা টেক্সট মেসেজের উপর। অবসর সময় কাটাতে হবে? আমরা মাঠে না গিয়ে অথবা ঘুরতে না বেরিয়ে বসে যাই মোবাইলে গেম খেলতে কিংবা মুভি দেখতে। এখনকার স্মার্টফোনগুলোতো আমাদের চিন্তার থেকেও বেশি স্মার্ট। কিন্তু এতটা স্মার্ট কিন্তু প্রথমদিককার মোবাইল ফোন ছিলনা।
তখন এটার কাজ শুধু কল ধরা এবং রিসিভ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। মোবাইল ফোন প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৮০র দিকে মোটোরালা কোম্পানির একজন চাকরিজীবী মার্টিন কুপারের হাতে। তখন ঐটা দিয়ে শুধু কল ধরা এবং রিসিভ করাই যেত। অর্থাত্ এখনকার স্মার্ট পজিশনে আসতে মোবাইল ফোন বিবর্তিত হয়েছে প্রায় ত্রিশ বছরেরও বেশি সময়। চলুন দেখে নেই এর বিবর্তনের ধাপগুলো এবং ভবিষ্যতে কোন জায়গায় যেতে পারে আজকের স্মার্টফোন।
চিত্র:Motorola DynaTac 8000x বিশ্বের প্রথম তারবিহীন মোবাইল ফোন।
১৯৮৩: মোটোরোলা কোম্পানির একজন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপারকে মোবাইল আবিষ্কার করার কৃতিত্ব দেয়া হয়। তিনি ১৯৭৩ সালে প্রথম ফোন কলটি করেন একটি ডায়নাটেক ফোন থেকে। ১৯৮৩ সালে কোম্পানিটি প্রথম মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসে। সে সময়ে এর দাম ছিল প্রায় চার হাজার ডলার। মুদ্রাস্ফিতির হিসাবে বর্তমানের প্রায় দশ হাজার ডলারের মতো!!
চিত্র:মার্টিন কুপার।
ফোনটি দিয়ে শুধু কলই করা যেত।যখন প্রথম ফোনটি করা হয়েছিলো তখন এর রিসিভার ছিলেন তাদেরই বিরোধি কোম্পানি AT&T এ চাকুরিরত তার বন্ধু। এরপর ১৯৮৯ সালে মোটোরোলা কোম্পানি DynaTac 9800x মডেলের একটি ফোন নিয়ে আসে যাতে ভাঁজ করা কিবোর্ড ছিল।
১৯৯২: মোবাইল ফোন বাজারে নকিয়ার প্রবেশ একটি মাইলফলক ছিল। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় ধরি নকিয়াই রাজত্ব করেছিল তা আমরা সবাইই জানি।নকিয়ার প্রথম মোবাইল ফোনটি ছিল Nokia 1011.ইউরোপে ১৯৯১ সালে GSM নেটওয়ার্ক চালু হয়। সাধারণ মানুষের জন্য মোবাইল ফোন উন্মুক্ত হতে থাকে। নকিয়া এর সুবিধা নেয় এবং বাজারে পরিচিত হয়ে ওঠে।
চিত্র:Nokia 1011 মোবাইল ফোন।
এই সময়ের মোবাইলগুলো যা যা করতে পারতো
  • টেক্সট মেসেজ।
  • গেমস খেলা।
১৯৯৭:-জার্মান কোম্পানি সিমেন্স একটি মোটামুটি স্মার্ট ফোন নিয়ে আসে, এর ডিস্প্লেতে চারটি রং ছিল। Hagenuk GlobalHandy ছিল প্রথম এন্টেনাবিহীন মোবাইল ফোন। একই সময়ে নোকিয়া কেসিংযুক্ত একটি ফোন নিয়ে আসে যাতে পুরনো হলে কেসিং বদলালে আবার নতুন মনে হয়।এরিকসন কোম্পানি প্রথম মোবাইল ফোন বাজারে প্রবেশ করে। এ সময়কার মোবাইলগুলো আরো যা যা করতে পারতো
  • ইমেইল (নকিয়া 9000(1996))
  • ভাইব্রেট অ্যালার্ট (মোটোরোলা স্টারট্যাক(1996))
  • কালার ডিসপ্লে (সিমেনস এস 10)
১৯৯৯-২০০২: ফিচার ফোনের শুরু। নকিয়া ১৯৯৯ এ 7100 মডেলের একটি ফোন উন্মুক্ত করে যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেত। এর এক বছর পর জাপানি কোম্পানি সার্প(Sharp) বিশ্বের প্রথম ক্যামেরা ফোনটি বাজারে আনে।
চিত্র:Sharp J-hs04 মডেলের একটি ফোন।
এ সময়ের ফোনগুলোর আরো কিছু বৈশিষ্ট্য:
  • প্রথম ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত ফোন নকিয়া ৭১০০।
  • ভিডিও কলিংয়ের সুবিধাযুক্ত প্রথম ফোন Kyocera VP210
  • জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম Benefon Esc!
  • Mp3 প্লেয়ারযুক্ত স্যামসং এর প্রথম ফোন SPH-M1000
  • ব্লুথুট নিয়ে আসে এরিকসন কোম্পানি Ericcson R520m মোবাইলে।
  • মেমোরি কার্ডযুক্ত Seimens SL45
  • MMS সুবিধাযুক্ত সনি এরিকসন T68i
২০০৩-২০০৬: 3জি চালু হওয়াতে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ব্ল্যাকবেরি মোবাইলফোন বাজারে প্রবেশ করে তাদের BlackBerry Pearl 8100(2006) নিয়ে। সনি এরিকসন Z1010 ফোনে ফ্রন্ট ক্যামেরা নিয়ে আসে,যার কারনে ভিডিও কলিং সম্ভব হয়।
চিত্র:BlackBerry Pearl 8001.
চিত্র:সনি এরিকসন Z1010 মোবাইল ফোন।
এসময়ের ফোনগুলোতে
  • সর্বপ্রথম ওয়াই ফাই নিয়ে আসে Calypso C1250i.
  • ওপেরা মিনি ওয়েব ব্রাউজার নিয়ে আসে মোবাইল ফোনের জন্য।
  • নকিয়া তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি Nokia 3310 মডেল নিয়ে আসে।এটি প্রায় 126 মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়।
  • নকিয়া 5510 ফোনে সর্বপ্রথম কোয়ার্টি কিবোর্ড নিয়ে আসে।ফোনের ডিসপ্লেগুলো পুরোপুরি রঙিন হতে থাকে।
  • নকিয়া 7650 তাদের প্রথম ক্যামেরা ফোন নিয়ে আসে।
  • মোটোরোলা Razr V3 নামের একটি স্টাইলিশ ফোন বাজারে আনে। এটি বিশ্বব্যাপী প্রায় 130 মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়।
  • ২০০৫ এ গুগল অ্যান্ড্রয়েড কিনে নেয়।
  • ২০০৬ এ Nokia N95 রিলিজ হয়।সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই ফোনটিকেই স্মার্টফোনের জনক বলা যায়।১৬০ এম্বি র্যাম এবং ব্লুটুথ,ক্যামেরা এবং ওয়াই ফাই সুবিধা ছিল।
২০০৭-২০১০: ২০০৭ এর জুনে স্টিভ জবসের অ্যাপল সর্বপ্রথম আইফোন বাজারে নিয়ে আসে। পরিপুর্ন স্মার্টফোন বলতে এটিকেই বোঝানো হতো। ২০০৯ এ G1 নামের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন বাজারে আসে। অ্যাপল অ্যাপ স্টোর চালু হয়।২০০৯ এ হোয়াটসঅ্যাপ চালু হয়। স্যামসং অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন নির্মান শুরু করে। ২০১০ এ আইফোন ফোর রিলিজ হয়। গুগল নেক্সাস ওয়ান নামের স্মার্টফোন নিয়ে বাজারে প্রবেশ করে।
চিত্র:একটি প্রথম প্রজন্মের আইফোন।
২০১১-২০১৪: স্যামসং গ্যালাক্সি এস টু রিলিজ করে। তাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফোনগুলোর একটি হয় এস থ্রি যেটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন জগতে বিপ্লবের সৃষ্টি করে। ২০১২ তে আইফোন ফাইভ রিলিজ হলে প্রথম সপ্তাহেই পাঁচ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়। ২০১৩ তে আইফোন ফাইভ এস এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যুক্ত হয়। স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।


স্যামসং এবং আইফোনের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ২০১২ তে নকিয়া মাইক্রোসফট এর কাছে বিক্রি হয়ে যায়। মুলত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্টফোন বের না করায় বাজারে দখল ধরে রাখতে পারেনি নকিয়া। মাইক্রোসফটও একই ভুল করে। তারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোন নিয়ে আসে কিন্তু তা ততটা ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিলনা। তাই তারাও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। ২০১৫তে চুক্তি শেষ হলে নকিয়ার ব্র্যান্ড নেইম কিনে নেয় ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল(HMD Global)।
সম্পর্কিত ছবি
চিত্র:মাইক্রোসফট লুমিয়া ৬৫০ স্মার্টফোন।
নকিয়ার প্রথম অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্ট ফোনটি হলো নকিয়া ৬। এটি ২০১৬ সালে বাজারে আসে এবং মাত্র ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ লাখ ইউনিট বিক্রি করে রেকর্ড সৃষ্টি করে।
চিত্র:Nokia 6 SmartPhone
২০১৫ এর পর থেকে স্মার্টফোন জগতে জায়গা করে নিতে থাকে হুয়াওয়ে, জিয়াওমি এবং অপ্পোর মতো চাইনিজ কোম্পানিগুলো। ২০১৬তে গুগল পিওর অ্যান্ড্রয়েডের পিক্সেল ফোন নিয়ে আসে। স্যামসং এবং অ্যাপল পাল্লা দিয়ে ফোন বের করতে থাকে। তবে বর্তমানে স্যামসং এগিয়ে আছে। তাদের এস ও নোট সিরিজের ফোনগুলো বাজারের অধিকাংশ দখল করে রেখেছে। ২০১৭ তে স্যামসং তাদের এস সেভেন স্মার্টফোনে ফেস লক নিয়ে আসে।স্মার্টফোন ক্যামেরাগুলো অনেক উন্নত হতে থাকে। মাল্টিটাস্কিং বা একসাথে অনেক কাজ করা যায় এমন ফোনের চাহিদা বাড়তে থাকে।ফোনগুলোর ডিসপ্লে সাইজ বাড়তে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। সর্বশেষ তথ্যমতে বর্তমান স্মার্টফোন বাজারে ৭৪% স্যামসং এবং ২০% আইফোনের দখলে।স্যামসং এর সর্বশেষ স্মার্টফোনটি হলো গ্যালাক্সি এস নাইন এবং এটিই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক স্মার্টফোন।

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের “মাঠ সহকারী” পদের লিখিত পরিক্ষার রেজাল্ট | Ebek Result 2018

Ektee Bari Ektee Khamar EBEK Field Assistant Exam Result 2018

আজ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের “মাঠ সহকারী” পদের লিখিত পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

EBEK Field Assistant Result 2018 Published

[mks_button size=”large” title=”বাগেরহাট” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1lYWqEWg0W0Cuxh4SR9JmDYY9EmtJ4eRB” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]  [mks_button size=”large” title=”বান্দরবান” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=10U-mu1QGpG3EdtphpbBfwGpGSxGUw62j” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]  [mks_button size=”large” title=”বরগুনা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1zqRi8Zbr80KrZ3HkwoZOtMRuSoE7BcVF” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]   [mks_button size=”large” title=”বগুড়া” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1w768MFwOaGuJI1ErgtiTXZWE6Yek2T9T” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]  [mks_button size=”large” title=”বরিশাল” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1oZoo6kfdoDorBnpMOQdSbrN00Zb-uUn9″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ভোলা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1jlTiOxrVyT1DUa_4h8FdJbyEno5_7f6X” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ব্রাহ্মণবাড়িয়া” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ruBnTH3VQyiDy8x2UyCsv9xaeOmksWHG” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ঢাকা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1k6jN6x05mY4hPz8u244x-lYDU1daaJwd” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”গাজীপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1uYwy4P0RhaKY8bCmwIIhqhz35uN_0JVr” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মানিকগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1LdGFm330LS4kuJzuWPPyjS1mNfYnZUFy” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মুন্সীগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1qNJ6GaUZMBP5wrx_g4yiY93kfMHUp8dd” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নারায়নগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1zBds_2scnNYAsDNPtKzvaOJR-Uo3ymfg” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নরসিংদী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=12RnO-iArsDV6PJVnGkkUNE4o-mixHXYO” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ফরিদপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=12SRu8lBVSUN5NfA2-gckkqIY-c5tOOUe” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”গোপালগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1clyBkGyTmYu_nCKmWPZm4GKbNVkngrJ4″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মাদারীপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1s9Eu17OeVTA9TNt9qvM8V8aGSomOZvDB” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”রাজবাড়ী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=190rFKRkiwCbfvxDUyzqgHRNmMPc3Pfi4″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”শরীয়তপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1_V8iSIF_R_HPP8wRysteNn63Z27z-TTF” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”কিশোরগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1c3S_nQngbxgD6avA-Oq1EjSEyQkGWTDH” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”টাংগাইল” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1jOt_cB3covc9iD4xP_0IS9Z7878hHaoL” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ময়মনসিংহ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1Rccw1W56TV7CPtjqKBZny1TiKugMFt6e” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”জামালপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1UqdzqmZx8DU4zJHnwaEkJKfDzsNNwVNo” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নেত্রকোণা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1xIVD6RGYgX1YQ84MZNNzyCAR4tBh6SrR” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”শেরপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=16LhPBifPDKy2Z6K5wD0Ij60KwCCdbVVQ” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”চট্টগ্রাম” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1bI9ufYXvOrBWe6qwGoXbuI4PLGJHgCon” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”কক্সবাজার” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1XlZEjegYqJ7zXm6UTXcvkmuo5yZrN5uS” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”চাঁদপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1CHS3vc8jY3beR1VDisMu6LntKxbty6W4″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”কুমিল্লা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1J22bpm2Q_B0s2GlIsSpjGWLTqiLjd91i” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”খাগড়াছড়ি” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1QyjKIBbuP7wrbU-wakKyVa9TtPLxP5Ml” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ফেনী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1Op7HUJxyEoibyGBGdTFCOxMVOuQG9QgL” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”লক্ষীপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1YDg4KiNGtxCCxojJ2eKYvR2X0hQRvB88″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নোয়াখালী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1JGvWWZiTI3WpjLKA7ZLOdnrSxzwXYBkr” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”রাংগামাটি” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1kp2QhnL0tdntc0RUEjEI3fb2s14NvElI” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”রাজশাহী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ZDB_t7g8TzZOzOaq4Dqt5NmeIPr_9VpM” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”জয়পুরহাট” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1P_7drUi1P2hr47v9_PND_Kwu-8ip2Z5R” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”পাবনা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1qD1LsL0X71XP-sBjLjantVtguLo3Puzj” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”সিরাজগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1B6slMqQYSryBaVFiBPPQuivfdYhNqG1X” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নওগাঁ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1j_sU2o2Kn_d6QNwUri19T_sJoPQd_iv5″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নাটোর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1Y456CkojYf2GNmUk8wT12JCmR-zMqEMX” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”চাঁপাইনবাবগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ZXSgDslh_QrTi0QnNaLLydD15OC9VKNo” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]  [mks_button size=”large” title=”রংপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1e_LDMs6FYvlpaHC2ab0d2QV8P-GInKJE” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”দিনাজপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1S1opoS8BODqeltqLbSEpkL8N1PJScE7q” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”গাইবান্দা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ElpATYe5RCsk0kUOnVFBsVxxKy–EUdu” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”কুড়িগ্রাম” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1vHrDsX2u00zY0noJj3oypv9tbjXlxV0y” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”লালমনিরহাট” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1p8uzpBkLkwwGqYdXX-8Pj65ugVjxBa_j” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নীলফামারী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1KUELj6QtVDlkk_hiuwGiqjFKlyG7otbg” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”পঞ্চগঁড়” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=17wyyeTw7hC_sdIRZLLDDhBdONHiKiIY5″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ঠাকুরগাঁও” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1TcoZHoe9Okx1E-6BRKCXBUMRtR5vdTa2″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”খুলনা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1MUEZ6AxN33s0zqnsh_GZz0s-ArBFJYI2″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”যশোর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1KMQZh2JJ8483gcZRV4BVlrDwNDKE0edw” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ঝিনাইদহ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1JBVaSogDP00UzC4s9EKoPxKpiRzF7lWK” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মাগুরা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1IV_4xMwmUwcGGrkQtXg7HT2D60we0iDc” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”নরাইল” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1_6VAQ7DqedwF4WSU5XDho8OSSHLOv9MG” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”চুয়াডাঙ্গা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=16DyaLUgJW9JK7Z0R3SG15FUPwIHJHjmi” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”কুষ্ঠিয়া” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1IN3Pv7Fms4RErzSuXGs_nmrUpK1qr0Zs” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”সাতক্ষীরা” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1Oss8-Hv7CdoJCGB7r6HT4H_kKNu4sjgo” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মেহেরপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ZVcCYLewlgy9lP4alAx95npD4HAQUvL2″ target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”ঝালকাঠি” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1Xwb5UhksOUuz29ctbthGjbAN7yHnoryv” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”পিরোজপুর” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1zA6Kyo4aNJ94RyCimYiUQIKitPrr8jKU” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”পটুয়াখালী” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1sJvG3rbo-m2o4jzZmLOup_cbBG_vAKr-” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”সিলেট” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1nwKLAJTFmUNIW9ygJpypStptG_2dvZgR” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”মৌলভীবাজার” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1axoKqPa9jPsEBR8A9PI_PyhDUntqTBja” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”সুনামগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1OYVmR9qQc6YJB5SlvgIaNo21Ww0pl58q” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””] [mks_button size=”large” title=”হবিগঞ্জ” style=”rounded” url=”https://drive.google.com/open?id=1ubVje16YDTboU9IpZGiYCtME42f8uVCC” target=”_blank” bg_color=”#0288d1″ txt_color=”#FFFFFF” icon=””]

স্টিফেন উইলিয়াম হকিং সংক্ষিপ্ত জীবনকাহিনী | Stephen Hawking Biography

স্টিফেন হকিং  আজকের দিনের খুবই পরিচিত নাম। আমরা তাকে চিনি বিশিষ্ট পদার্থবিদ এবং সর্বকালের সেরা জোতির্বিজ্ঞানীদের অন্যতম হিসেবে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে তিনি খবরের পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন।আজ ১৪ই মার্চ আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিনে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।কিন্তু তার কৃতকর্মের জন্য মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন যুগের পর যুগ।চলুন জেনে নেওয়া যাক সংক্ষিপ্ত আকারে লিখিত স্টিফেন হকিংয়ের জীবনকাহিনী। জন্ম এবং বাল্যকাল:হকিং ১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন।ওইদিন ছিল বিখ্যাত পদার্থবিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির ৩০০তম মৃত্যুবার্ষিকি।তার বাবা ফ্রান্ক হকিং এবং মা ইসোবেল হকিং।চার সন্তানের মধ্যে হকিং ছিলেন সবচেয়ে বড়।বাবা-মা দুজনেই ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া।তাই বলা যায় হকিং একটি শিক্ষিত পরিবারেই জন্মেছিলেন।তার বাবা একজন জীববিজ্ঞানী ছিলেন।

দ্যা প্রেস্টিজ | The Prestige | Movie Review

প্রতিটা জাদুর কৌশলে মোট তিনটি অংশ থাকে।প্রথম ধাপকে বলা হয় দ্যা প্লেজ(The Pledge)যেখানে জাদুকর সামান্য কিছু একটা দেখায়(একগুচ্ছ তাশ,একটি পাখি বা একটি বাক্স) দ্বিতীয় ধাপকে বলা হয় দ্যা টার্ন(The Turn)এই অংশে জাদুকর ওই সাধারণ বস্তুটা দিয়েই অসাধারণ কিছু একটা করে।যেমন বস্তুটিকে অদৃশ্য করে ফেলা বা এটাকে অন্য বস্তুতে রুপান্তর করা। কিন্তু এখানেই জাদু শেষ নয়।এখনো সবচেয়ে কঠিন ধাপটি রয়ে যায়।যেখানে আপনাকে ওই বস্তুটিকে পুর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হয়। এই ধাপটিকেই জাদুকররা নাম দিয়েছেন দ্যা প্রেস্টিজ(The Prestige)।

প্লট: বর্ডেন(ক্রিস্টিয়ান বেল) এবং অ্যান্জিয়ার(হিউ জ্যাকম্যান দুজন সহকারী জাদুকর। তারা একসাথে লন্ডনের বিভিন্ন থিয়েটারে জাদু দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তো একদিন জাদু দেখানোর সময় বর্ডেনের ভুলের কারনে অ্যান্জিয়ারের স্ত্রী মারা যায়।স্বভাবতই এইজন্য অ্যান্জিয়ার বর্ডেনের উপর তীব্র রাগান্বিত হয়ে যায়। এরপর মুভির প্লট আবর্তিত হয় দুই আলাদা জাদুকর ড্যান্টন(অ্যান্জিয়ার) এবং বর্ডেন এর মধ্যকার পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং একজন আরেকজনের ক্ষতি করার তীব্র আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে। একসময় ড্যান্টনের মৃত্যুর অপরাধে বর্ডেনকে জেলে যেতে হয়।এখন বর্ডেন সত্যিই কি ড্যান্টনকে খুন করেছিলো?নাকি এটা ড্যান্টনেরই ষড়যন্ত্র? জানতে হলে দেখতে হবে ক্রিস্টোফার নোলানের অমর সৃষ্টি-The Prestige.

ক্রিস্টোফার নোলানের মুভি মানেই মাস্টারপিস। এই মুভিটিও তাই। ৮.৫ আইএমডিবি রেটিং নিয়ে এটি সর্বকালের সেরা ২৫০ মুভির মধ্যে ৪৭ নাম্বারে অবস্থান করছে। মুভির কাস্ট ও অনেক সুন্দর। ক্রিস্টিয়ান বেল,হিউ জ্যাকম্যান এবং মাইকেল কেইন এর অনবদ্য অভিনয় এটিকে সম্পুর্ন অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে। সিনেমাটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো।আর অসাধারণ টুইস্টগুলো মুভিটিকে আরো বেশি উপভোগ্য করে তুলেছে। এক মুহুর্তও স্ক্রিন থেকে চোখ সরানোর উপায় নেই।ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর খুব কমই ছিল।বলতে পারেন মিউজিকের তেমন কোনো ভুমিকাই নাই ফিল্মটিতে। মুভিতে দেখানো জাদুগুলোও আপনার ভালো লাগবে। দুইটা অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। ২০০৬ সালেই জাদু নিয়ে নির্মিত আরো দুইটি ফিল্ম রিলিজ হয় কিন্তু এটির রিভিউ এবং বক্সঅফিস কালেকশন ছিল বাকি দুইটার থেকেও বেশি পজিটিভ।

জনরা: রহস্য,থ্রিলার,ড্রামা।
ডিরেক্টর: ক্রিস্টোফার নোলান
লেখক: ক্রিস্টোফার প্রিস্ট(উপন্যাস)
অভিনয়ে: ক্রিস্টিয়ান বেল,হিউ জ্যাকম্যান,মাইকেল কেইন,স্কারলেট জোহানসন।
IMDB Rating: 8.5
রিলিজ ডেট: অক্টোবর ২০-২০০৬(আমেরিকা)
বাজেট: ৪০ মিলিয়ন।
বক্সঅফিস: ১১০ মিলিয়ন।

ডিভোর্সের পথে মাহি

আমাকে দুই মিনিট সময় দেবেন? একটু চোখটা বন্ধ করে বসে থাকব।’ এভাবেই সাংবাদিকদের বিনীত অনুরোধ করে চোখটা বন্ধ করলেন মাহিয়া মাহি। আলতো করে দুহাতে চোখটা ঢেকে ফেললেন। হালকা ধূসর রঙের মার্জিত সোফায় লাল শাড়িতে মাথা নিচু করে বসে আছেন মাহি; নীরব। সামনে-পেছনে ঠাসা তাজা ফুলে পরিপাটি। জানালার ওপাশে অন্ধকারে মরিচবাতির ঝলক। কী ভাবছেন মাহি? নাকি সবার সামনে আলাদা করে নিজের সঙ্গেই কথা বলছেন তিনি। শোনা যায় না। হয়তো শুনতে দেয় না বিসমিল্লাহ খাঁ সাহেবের সানাই। মাহির চোখটাও দেখা যায় না। বোঝা যায় না, কতটা সামলে নিচ্ছেন নিজেকে। না, আর কিছু ভাবতে দিলেন না। স্তব্ধবাক চোখ দুটো মেলেই দুষ্টুমির হাসি। বললেন, যাক এবার আবার ছবি তুলতে পারেন। চোখ দুটোকে একটু বিশ্রাম দিলাম।

মাত্র কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন। তখন বউকে নিয়ে অনেক কিছুই বলেছিলেন নিজের অজান্তেই।  মাহির প্রেমে পড়লেন কীভাবে? বা তার কোন বিষয়টি ভালো লাগে?

কিন্তু হঠাৎ করে মাহি বা অপুর মধ্যে কি এমন হলো ? কেনইবা এমনটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দু’জন ?

স্বামীর সাথে নাকি তার মনোমালিন্য চলছে বেশকিছুদিন ধরে।আবার সাংবাদিকদের ফোনও ধরছেন না! ফেসবুকেও নাকি হতাশামূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন “আমি খুব সহজেই মানুষ চিনতে পারি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা চিনতেই আমার ভূল হয়ে গেল।” সবকিছু মিলিয়ে নাকি গুঞ্জন আরো বেশি জোরালো হচ্ছে চলচ্চিত্রপাড়ায়!!!

সবশেষে এটাই বলবো চলচ্চিত্রপাড়ায় আরেকটি ডিভোর্সের ঘটনা ঘটুক এটা কোনভাবেই আমাদের কাম্য নয়… গুঞ্জন সত্যি না হলেই খুশি হবো 

সূত্র: জনপ্রিয় সিনেম্যাগাজিন ছায়াছন্দ এর এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট

দুষ্ঠ শামীম খলিফা থেকে দেশের খ্যাতিমান তারকা মোশারফ করিম হয়ে ওঠার গল্প

মোশারফ করিমের ছোট-বেলার ছবি

ছোট বেলা থেকেই চঞ্চল ও দূরান্তপনা পাশাপাশি এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে চলাই ছিল তার কাজ । গ্রামে থাকাকালীন সময়ের অধিকাংশ সময়ই নদীর তীরে আড্ডা দিয়ে কাটিয়েছেন। গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার প্রত্যন্ত পল্লী ঐতিহ্যবাহী নলচিড়া উনিয়নের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামে তার জন্ম। ১৯৮০ সালে পিংলাকাঠ চিপারটাইপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করে পিংলাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে ভর্তি হন। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিভাগে এস,এস,সি পাশ করেন। গ্রামের বন্ধুবান্ধব, সহপাঠ, শিক্ষক ও পারিবারিক সদস্যদের দেয়া তথ্য মতে ছোট বেলা থেকেই মোশারফ করিম অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির ও মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সব সময় দূরান্তপনা ও আড্ডা দিতেই বেশী পছন্দ করতেন। সোমবার সকালে নলচিড়া ইউনিয়নের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামে রওয়ানা হলে পিংলাকাঠী হাইস্কুলের পূর্ব পাশ পর্যন্ত যাওয়ার পরে তারকা মোশারফ করিমের বাড়ি যেতে প্রায় আধা কিলোমিটর পথ বাড়ি দিতে হয়। বাড়ি পর্যন্ত যেতে ওই আধা কিলোমিটার পথ কোন রাস্তা নেই। অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে হাটু কর্দমাক্ত পথ বাড়ি দিয়ে বাড়িতে পৌছতেই ঘরের কোনে একটি সিঙ্গেল বাঁশের সাকো পাড় হতে হয়। বাড়িতে পৌছতেই দেখা যায় পুরানো একটি দোতালা টিনের ঘর। বাড়িতে জনমানব শুন্য। দেখলেই বোঝা যায় এ বাড়িতে কেহই থাকেন না। হয়তো বছরের মাঝে মধ্যে দু এক দিন কোন মেহমান রাত যাপন করে থাকেন। মোশারফ করিমের বাড়ির পাশের জুলহাস(৪০) জানান, এ বাড়িতে কেহ থাকেন না। প্রতি বছর ঈদে শামীম খলিফা (মোশারফ করিম) বাড়িতে এসে ১/২ দিন থাকেন এবং জমিয়ে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে আনন্দ ফূর্তি করে সময় কাটিয়ে ঢাকায় চলে যান। করিমের প্রতিবেশী ভাবি ফিরোজা বেগম (৬০) বলেন, ও (করিম) প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে আসেন এবং হৈ হুল্লর করে বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটান। গ্রাম ঘুরে দেখেন, এ বাড়িতে থেকে ও বাড়িতে ছুটে সবার খোজ খবর নেন। পুরো গ্রামটি মাতিয়ে রাখেন। তিনি আরো বলেন, শামীম খলিফার সবচেয়ে পছন্দ হচ্ছে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী পালরদী নদীর তীরে আড্ডা দেওয়া ও নদীতে গোসল করা। বাড়িতে এসেই প্রথমইে ছুটে যান শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত নদীর তীরে। গ্রামের লোকজন জানান, শামীম বাড়িতে আসলে যে কয় দিন থাকেন প্রতিদিন শত শত ভক্ত, বন্ধুবান্ধব হিতাকাঙ্খী বাড়িতে ভীড় জমায় কিন্তু শামীম সকলের সঙ্গে সৎ আচরন করে তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন। ধনী গরীব সকলের সঙ্গে সমহারে কোলে টেনে নেন। বিন্দুমাত্র হিংসা বিদ্বেশ নেই।  পিংলাকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(অবঃ) মো. বজলুর রহমান বলেন, শামীম খলিফা ছোট বেলা থেকেই দুষ্ঠ প্রকৃতির হলেও সে ছিল খুবই মেধাবী। মানব দরদী। আজও সেই ধারা সে ধরে রেখেছেন। করিমের বাড়ির অদূরেই বড় বোন হেলেনুর রহমান নিজ বাড়িতে বাস করেন। ওই বাড়িতে গেলে হেলেনুর রহমান জানান, তারা ৫ ভাই ৫ বোনের মধ্যে শামীম খলিফা (মোশারফ করিম) ৪র্থ। তার বাবা করিম খলিফা ছিলেন একজন পল্লী চিকিৎসক এবং মমতাজ বেগম ছিলেন একজনগৃহীনী। তিনি বলেন, শামীম ছিলেন গ্রামের সেরা দুষ্ঠ, তার পছন্দের একটি দিক ছিল বন্ধুদের নিয়ে স্কুল মাঠে আড্ডা দেওয়া । নদীর তীরে ছুটে চলা। করিমের কাছের বন্ধুরা অনেকেই ঢাকায় বসবাস করেন। সহপাঠি নয় শৈশবের দুষ্ঠামির বন্ধু কৃষক আনোয়ার আকন। আনোয়ার বলেন, শামীম খলিফা(মোশারফ করিম)মোর একজন ভাল বন্ধু, ওরে নিয়ে মুই খুব গর্ব করি। মোর শামীমরে যহন টিভিতে দেহি তহনবুকটা ভইররা যায়।গ্রামের লোকজন ও এলাবাসী জানান, মোশারফ করিম দেশের গর্ব । তার বাড়িতে যাওয়ার কোন রাস্তা বা পথ নেই। সে বাড়িতে আসলে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ বাড়িতে ভিড় জমায়।

ভয়েজার ১: একটি এক্সট্রা-অর্ডিনারি মহাকাশ অনুসন্ধান যন্ত্রের গল্প।

একটা জিনিস কল্পনা করুন,মানুষ নির্মিত কোনো যন্ত্র আমাদের সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে মিল্কওয়ে গ্যালাক্সির বিশালতায় ডানা মেলেছে এবং এখনো সেটি তার ভ্রমণ অব্যাহত রেখেছে।ব্যাপারটি খুবই রোমাঞ্চকর না?? আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ভয়েজার ১ এই কাজটি ২০১২ সালেই সম্পন্ন করে ফেলেছে!! ২০১৮ পর্যন্ত এটি প্রায় ২১ বিলিয়ন কিলোমিটার বা ১৩ বিলিয়ন মাইল দুরত্ব পাড়ি দিয়েছে এবং এখনো সেকেন্ড প্রায় ঘন্টায় ৬০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটছে। আর এই তের বিলিয়ন মাইল দুরত্ব অতিক্রম করতে সময় লেগেছে কত জানেন?? প্রায় ৪০ বছর ছয় মাস!! সেই ১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে ভয়েজার ১ এবং এর যমজ ভয়েজার ২ রওনা দেয় এর ষোল দিন আগে।কিন্তু দুরত্বের দিক দিয়ে এটি বাকি সবাইকে ছাপিয়ে যায় এবং মানুষ নির্মিত প্রথম বস্তু হিসেবে সৌরজগতের সীমানা পার করতে সক্ষম হয় এবং এটি এখন পর্যন্ত মানুষ নির্মিত সবচেয়ে দুরতম বস্তুও বটে! চলুন জেনে নেওয়া যাক এই এক্সট্রা অর্ডিনারি যন্ত্রের এক্সট্রা অর্ডিনারি ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত গল্প-



উদ্যেশ্য ও যাত্রা: ভয়েজার মিশনের সম্পুর্ন দায়িত্ব পালন করে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি।প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল শনি এবং বৃহস্পতি গ্রহেকে পর্যবেক্ষণ করা। ভয়েজার ২ বাড়তি হিসেবে ইউরেনাস ও নেপচুনকেও অতিক্রম করতে সমর্থ হয়।এটি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহগুলোর কিছু দুর্দান্ত ছবি এবং ভিডিও পাঠায়। ভয়েজার ১কে তৈরি করা হয়েছিলো আরো বেশিই অ্যাডভান্স করে। সেটি সৌরজগতে তার সকল লক্ষ্য পুরন করে এগিয়ে যায় আরো বেশি দুরে। ২০১২ এর আগস্টে ভয়েজার এক সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করে এবং ঐতিহাসিক ইন্টারস্টেলার জার্নি শুরু করে। এতসব অর্জন কিন্তু কয়েকদিনেই হয়নি, প্রায় ৪০ বছরের যাত্রায় এসব সম্ভব হয়েছে। এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতেই পারে যে এতগুলো বছরে ভয়েজার পর্যাপ্ত জ্বালানি পেল কই?? কিভাবেই বা এতগুলো পথ পাড়ি দিল? তাই আগেই বলে রাখি এটি পরিচালিত হয় পারমাণবিক শক্তির দ্বারা। এর ভিতরে রাখা আছে তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম, এবং এখনো এতে প্রায় ৭০ পার্স্টেন্টের মতো প্লুটোনিয়াম অবশিষ্ট আছে। তো আমরা এর প্রাথমিক যাত্রা সম্পর্কে জানবো এখন-

চিত্র: টাইটান IIIE রকেট দ্বারা ভয়েজার ১ এর উৎক্ষেপন।

ভয়েজার ১ উৎক্ষেপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে। ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ সালে। ব্যাবহৃত রকেটটি ছিল একটি Titan IIIE এবং এটি পরিচালিত হয় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি দ্বারা। পাইয়োনিয়ার ১০ নামের আরেকটি প্রোব আগে পাঠানো হয়েছিলো।পাইয়োনিয়ার থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমুহ থেকে বিজ্ঞানীরা ভয়েজার মিশনটি আরো নিখুঁত করে গড়ে তোলেন।

গঠন: ভয়েজার তখনকার সময়ের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি করা হয়েছিলো, যদিও বর্তমান প্রযুক্তির থেকে এটি কয়েকগুন পিছিয়ে রয়েছে।

চিত্র:ভয়েজার ১ এর মুল অংশগুলো।

এর আকৃতি অনেকটা UFO এর মতো। উপরে আছে একটি বড় অ্যান্টেনা। একপাশে ক্যামেরা এবং অন্যপাশে শক্তি উৎপাদনকারি জেনারেটর যা তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন করে। তারার অবস্থান এবং মহাজাগতিক রশ্মি চিহ্নিত করার জন্য এতে কিছু সেন্সর রয়েছে তবে তা খুবই পুরনো প্রযুক্তির। ভয়েজার ১ এ আরো যেসব অবাক করা জিনিস আছে তা হলো-
১। পৃথিবীর ১১৬টি ছবি। যদি কোনদিন এটি অন্যকোন সোলার সিস্টেমে বসবাসযোগ্য কোনো গ্রহ এবং এলিয়েন খুজে পায় তবে তারা যেন জানতে পারে যে তারাই মহাবিশ্বে একমাত্র প্রানি নয়!!
২। একটি স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া সিডিতে রেকর্ড করা বাচ্চা মেয়ের কন্ঠে রেকর্ড করা বাক্য যা বলে-Hello From the Children of Planet Earth.আরো আছে পৃথিবীর মোট ৬০টি ভাষায় রেকর্ড করা শুভেচ্ছা বানি এবং বিভিন্ন ধরনের মানুষের শব্দ। দুইটা ভয়েজার প্রোবেই এই সিডি সংরক্ষিত আছে।
৩। পৃথিবী থেকে রেকর্ড করা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শব্দ এবং পৃথিবীতে আসার নির্দেশনা! চিত্র:স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো একটি কপার সিডি যাতে পৃথিবীর যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষিত আছে।

ভ্রমণের টাইমলাইন:

  • ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৭: ভয়েজার ১ এর যাত্রা শুরু। এর ১৬ দিন আগে রওনা দেয় ভয়েজার ২। দুটো যানই এখন সৌরজগতের বাইরে।
  • জানুয়ারি ১৯৭৯: ভয়েজার ১ বৃহস্পতি প্রদক্ষিন করে। বৃহস্পতি গ্রহের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি এটি পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতি গ্রহে ঝড়ের ছবি এবং ভিডিও পাঠায়। যখন এটি বৃহস্পতির একদম কাছে থাকে তখন পৃথিবী থেকে এর দুরত্ব প্রায় দুই লাখ মাইল।
  • নভেম্বর ১৯৮০: দুটো প্রোবই বৃহস্পতির মহাকর্ষ অতিক্রম করে শনির দিকে এগিয়ে যেতে সমর্থ হয়।এই সময়ে ভয়েজার ১ শনির কাছাকাছি অবস্থান করে। এসময় এটি শনির রিংয়ের গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা দেয় এবং এর রিমোট সেন্সরগুলো শনির পৃষ্ঠ এবং গ্যাস জায়ান্ট টাইটান(শনির একটি উপগ্রহ) সম্পর্কে গবেষণা করতে থাকে।
চিত্র:ভয়েজার ১ এর তোলা শনি গ্রহের ছবি।
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ এ ভয়েজার এক পাইওনিয়ার ১০ কে অতিক্রম করে এবং সবচেয়ে দুরবর্তী মানুষ নির্মিত বস্তু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যায় এবং তখনও সেটি প্রতি সেকেন্ডে সতেরো কিলোমিটার বেগে যাত্রা অব্যাহত রাখে।
চিত্র:ভয়েজার ২ এর তোলা নেপচুনের ছবি।
  • ২০১২ এর শেষের দিকে ভয়েজারের চারপাশের আবহাওয়াতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকে। ২০১৩ এর মার্চে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন যে এটি আমাদের সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করে ফেলেছে।
চিত্র:ভয়েজার এবং সৌরজগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্যান্য প্রোব।
  • সেপ্টেম্বর ২০১২ তে নাসা নিশ্চিত করে যে এটি ইন্টারস্টেলার মিডিয়ামে প্রবেশ করেছে। ইন্টারস্টেলার মিডিয়াম হলো দুইটি নক্ষত্রের মধ্যেকার পদার্থ এবং ফাঁকা জায়গা।

ভবিষ্যত: আসলে ভয়েজারের ভবিষ্যত সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় না। সৌরজগত পাড়ি দেয়ার পর এটি তার নিজ ইচ্ছামতো যেকোনো দিকেই যেতে পারে। এর ইঞ্জিনগুলো এখনও চালু আছে। তবে সবগুলো ক্যামেরা বন্ধ করতে হয়েছে। এটি হয়তো আরো দুই তিন বছর নাসার কাছে তথ্য প্রেরন করতে পারবে। ২০২৫ সাথে এর জ্বালানি সম্পুর্ন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এর ভ্রমণ অব্যাহত থাকবে। যেহেতু মহাকাশে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হবে না।

তাছাড়া কোনো ধরনের জোতিস্ক বা মহাজাগতিক কনার সাথে এর সংঘর্ষের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এটি নির্দ্বিধায় এগি যেতে থাকবে অনন্তকাল পর্যন্ত। এটি এখন যেই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেই গতিতে আমাদের নিকটবর্তী সোলার সিস্টেম প্রক্সিমা সেন্চুরাইতে পৌছতেও এর সময় লাগবে প্রায় ৭৪৪০০ বছর!!!

ভয়েজার ১ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নগুলো নাসার সায়েন্টিস্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারদের করা হয়েছিলো।

১। ভয়েজার কি এখনো পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম?
না!কারন সেই ১৯৯০ সালেই এর ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

২। কেন সক্ষম নয়?
বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে আসা আধানযুক্ত কনাগুলো সনাক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার এবং মেমোরি রাখার জন্য এর ক্যামেরাগুলো ছবি তোলা বন্ধ করে দেয়।

৩। ভয়েজার ১ থেকে একটি সিগন্যাল পৃথিবীতে আসতে কতক্ষণ সময় লাগে??
প্রায় ১৭ ঘন্টা!!যদিও রেডিও সিগন্যাল আলোর গতিতে ভ্রমণ করে।

৪। কবে নাগাদ ভয়েজারের পাওয়ার পুরোপুরি শেষ হবে?
২০২০ সাল পর্যন্ত এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিগুলো চালিয়ে রাখা যাবে। ২০২৫ সাল নাগাদ এর সবগুলো যন্ত্র সম্পুর্ন বন্ধ হবে।

৫। যাত্রাপথে ভয়েজারের গতির কি কোনো পরিবর্তন হবে?
না! এটি বর্তমানে যেই গতিতে আছে চিরতরে এই গতিতেই এগিয়ে যেতে থাকবে।

৬। ভয়েজারের প্রসেসর এবং কম্পিউটারের সাথে বর্তমানের প্রযুক্তির সাথে তুলনাটা কেমন দাড়াবে?
ভয়েজারের প্রযুক্তি থেকে বর্তমানের প্রযুক্তি প্রায় দুই লাখ সত্তর হাজার গুন উন্নত।

ভয়েজার সম্পর্কে আরো কিছু অজানা তথ্য

১। এর ভিতরে যেই মেমোরি রাখা আছে তার সাইজ কত জানেন?মাত্র ৬১ মেগাবাইট!!
২। ভয়েজারের ক্যামেরাগুলো এতই সার্প যে এটি প্রায় আধা মাইল দুর থেকে একটা ম্যাগাজিনের শিরোনাম স্পষ্ট পড়তে পারবে!!
৩। ভয়েজার ১ প্রায় ৬৫০০০ আলাদা যন্ত্রের কম্বিনেশন!!!
৪। ভয়েজার ১ একদিনে প্রায় ১ মিলিয়ন মাইল পথ অতিক্রম করে।

সুত্র:-www.wikipedia.com
www.popsci.com
www.voyeger.jpl.nasa.gov
www.reddit.com
www.astronomyisawesome.com