বাংলাদেশ এমন একটি মনোমুগ্ধকর দেশ যেখানে এক এক সময়ে বিভিন্ন মৌসুমের মজা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়। শীত কাল আমাদের মধ্যে এক অদ্ভুত প্রকারের ঠান্ডার অনুভূতি নিয়ে আসে। এই সময়েই পর্যটন এলাকাগুলোতে দেখা যায় প্রচুর পরিদর্শকের ভিড়। শীত কালে অলসতার চাদর খুলে আসুন ঘুরে আসি এমন সব জায়গায়।
লালাখাল
সিলেটের অপূর্ব এক নদীর নাম লালাখাল। ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে এই নদীর উৎপত্তি। শীতের সময় চমৎকার নীল বর্ণ ধারণ করে নদীর জল। এই সময় লালাখাল দেখা তাই মিস করা ঠিক নয় একদমই। আর সিলেট মানেই তো মেঘ পাহাড়ের মিতালী। দূরে পাহাড়ের সারি, ভেসে চলা মেঘ আর খুব কাছে নীলাভ সবুজ লালাখালের জল এর মাঝে নৌকায় ভেসে চলা এ যেন স্বর্গীয় এক সময়ের অবতাড়ণা।
কক্সবাজার
শীতে কক্সবাজারকে এক অন্য রুপে দেখা যায়। যেহেতু এই মৌসুমে কক্সবাজারকে দেখতে এক অন্যরকম রুপে দেখা যায়, হিমেল হিমেল বাতাস অন্যদিকে সমুদ্র থাকে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শান্ত প্রকৃতির। বিশেষ করে শীতের সকালে হালকা রৌদ্র আবহাওয়ায় সমুদ্র সৈকতকে এক অন্যরকম দেখতে। ঠিক এই সময়টাই সমুদ্র সৈকতে নানা দিক থেকে আসা পাখির ঢল দেখা যায়। পর্যটকদের জন্য রয়েছে সব প্রকারের সুযোগ সুবিধা। এই সময়ে পর্যটকদের প্রতি লক্ষ করে সিকিওর সিস্টেম আরো জোরদার করা হয়।
সেন্টমার্টিন
যদি আপনি বিকেলের অপুর্ব দৃশ্য মিস করতে না চান এবং যদি আপনি শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন যেখানে রয়েছে নিবুনিবু সুর্য ডুবার দৃশ্য।সুর্যাস্তের সময় সমস্ত সেন্টমার্টিনের চেহারাটাই পালটে দেয়। অন্যদিকে পর্যটক কম থাকায় সেন্টমার্টিনের বিচে পাওয়া যায় শান্ত প্রকৃৃতির দেখা। সেন্টমার্টিনে এখন শুরু হয়েছে রোমাঞ্চকর স্কুবা ডাইভিং। নীল সমুদ্রের গহিনে চলে যেতে পারবেন আপনি। উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের নীচের জগত। যারা স্কুবা করতে চান না তারা স্নোরকেলিং করতে পারেন। ভাটার সময়টায় হেঁটেই যেতে পারবেন ছেঁড়া দ্বীপ। সারা বিচে বিছানো চিকচিকে সাদা বালি, তার ফাকে ফাকে নানা রঙের শামুক ঝিনু্কে। সব মিলিয়ে পাওয়া যায় অন্যরকম জগত।
কুয়াকাটা
সুর্যের দুটি মনোরম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে কুয়াকাটা নাম সবার আগে। কারন এক দিকে রয়েছে সমুদ্র সৈকতের শো শো আওয়াজ এবং অপরদিকে রয়েছে সুর্যদয় এবং সুর্যাস্তের এক অপরুপ দৃশ্য।
পর্যটকের আনাগোনা কম থাকায় সমুদ্র সৈকত থাকে শান্ত প্রকৃতির। শুধু কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতেই নয় দেখার মত আছে ফাতরার বন, চর গঙ্গামতি, সীমা বৌদ্ধমন্দির, মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধমন্দির ইত্যাদি।
সুসং দুর্গাপুর নীল জলের কেয়ারি লেক
এখানে আছে চমৎকার একটি নীল জলের লাইমস্টোন লেক। বিরিশিরি নামেই খুব বেশি পরিচিত জায়গাটি। লেকের অদ্ভুত রং, লেক ঘেষা বর্ণিল মাটির পাহাড় সবকিছুই অনন্য করেছে জায়গাটিকে। কিন্তু জলের এই রং দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কিন্তু শীতকাল। এখানে লাইমস্টোন লেক ছাড়াও দেখার আছে সোমেশ্বরী নদী, সুসং রাজার বাড়িসহ আরও অনেক কিছু। আর এমন জায়গায় যেতে কারি মন না চায় যেখানে শুধু রয়েছে শান্তির খনি অপরূপ দৃশ্যের ভান্ডার। আজি বেরিয়ে যান এরকম অমুল্য ভান্ডারের খোজে।