-

চ্যাট জিপিটি ও ডিপসিক ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ২০২৫

Chat GPT অথবা DeepSeek বর্তমানে আমাদের প্রায় সকলের কাছেই অনেক বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলগুলি তৈরির পর প্রায় সমগ্র পৃথিবীতেই কম-বেশি সাড়া ফেলেছে। এই টুল গুলো ব্যবহার করে অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান/ কোম্পানি ব্যাপক সুবিধা পাচ্ছে। এমনকি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরেও জিপিটি ব্যবহার করছেন অনেক ফ্রিল্যান্সাররা। 

আপনিও Chat GPT অথবা DeepSeek সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে চ্যাট জিপিটি যেসকল কাজের ব্যবহার করা যায়, চ্যাট জিপিটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে সকল কাজ করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্ট ফাইন্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

চ্যাট জিপিটি ও ডিপসিক এর ব্যবহার

বর্তমানে চ্যাট জিপিটি ও ডিপসিক শুধুমাত্র একটি AI টুল হিসেবেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি একটি এসিস্ট্যান্ট হিসেবেও ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতা করে থাকে। এটি একটি উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত চ্যাটবট। সাধারণত আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে, তথ্য বিশ্লেষণ করতে, সৃজনশীল বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে এবং ব্যবহারকারীর নানান সমস্যার সমাধানের এটি ব্যবহার করে থাকি। 

এই টুলটি তৈরিকারী OpenAI প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক সংস্কারের মাধ্যমে এখন chatgpt আরও বেশি কার্যকর, দ্রুত এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে উঠেছে। চ্যাট জিপিটির ব্যবহার একদিকে যেমন সময় বাঁচায়, অন্যদিকে এটি জ্ঞানের ভাণ্ডারকে হাতের মুঠোয় এনে দেয়।

বর্তমানে চ্যাট জিপিটির যে সকল ফিচারগুলো ব্যবহার করে আমরা লাভবান হতে পারি, সেগুলো হলোঃ

(১) প্রশ্নোত্তর: চ্যাট জিপিটি প্রায় সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। তা সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য, ইতিহাস কিংবা জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে হোক না কেন। যেখানে google এ সার্চ করলে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল পড়ে উত্তর জানতে হয়, সেখানে আমরা chatgpt কে প্রশ্ন করে সহজেই উত্তরটি জেনে নিতে পারবো।

(২) সৃজনশীল লেখা: বিভিন্ন সৃজনশীল লেখা যেমন কবিতা, গল্প, চিঠি, বিজ্ঞাপনের জন্য কপি রাইটিং, ই বুক রাইটিং ইত্যাদি সৃজনশীল কাজ দক্ষতার সাথে করা যায় চ্যাট জিপিটি ব্যবহারের মাধ্যমে।  

(৩) অনুবাদ: Chatgpt টুলটি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় দ্রুত এবং নির্ভুল অনুবাদ করতে সক্ষম। বহুভাষী ব্যবহারকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: গুগল থেকে ট্রান্সলেট করলে, গুগল তার নিজস্ব ফরম্যাটে অনুবাদ করে দেয়। কিন্তু চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনি কাস্টমভাবে নিজস্ব বাচনভঙ্গিতে ভাষা অনুবাদ করতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে উপযুক্ত প্রম্পট ইউজ করতে হবে।

(৪) কোডিং: ডেভেলপারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড লেখা, ডিবাগিং, বা কোড অপটিমাইজেশনে এটি সহায়তা করতে পারে। উপযুক্ত প্রম্পট দেওয়ার মাধ্যমে এই এ-আই টুলটি দিয়ে জটিল জটিল কোডিং করে নেওয়া যায় সহজেই। তাছাড়া কোন কোডিং করার পর সেই কোডিং এ ভুল আছে কিনা তা জানতেও এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

(৫) তথ্য বিশ্লেষণ: ডেটা এনালাইসিস এর জন্য বড় পরিসরে তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এই টুলটি ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। আধুনিক বিশ্বে যারা ডাটা সাইন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তাদের অন্যতম সহকারি হিসেবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলটি সহায়তা করে থাকে। 

(৬) ইমেজ জেনারেশন: চ্যাট জিপিটি দিয়ে এখন AI generated ইমেজও তৈরি করা যায়। এটি একটি আপডেট ফিচার। এর মাধ্যমে আপনি একটি কাস্টম প্রম্পট দিয়ে আপনার চাহিদা অনুসারে Chat GPT থেকে ছবি তৈরি করে নিতে পারবেন। 

(৭) ব্যক্তিগত সহকারী: টাইম ম্যানেজমেন্ট, কাজের তালিকা তৈরি বা দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা করতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর। তাছাড়া একজন মানুষ অনলাইন ভিত্তিক নানান কর্মকান্ডে দিনের বিভিন্ন সময়ে এই টুলটি দ্বারা উপকৃত হতে পারে।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সটি ব্যবহার করা যায়। তবে এটি একটি যন্ত্রনির্ভর প্রযুক্তি হওয়ায় ব্যবহারকারীকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে নিতে হয়।

চ্যাট জিপিটি ও ডিপসিক দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

চ্যাট জিপিটিকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বহু কাজেই ব্যবহার করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সম্পর্কে নিচের ধারণা দেওয়া হলো:

(১) কনটেন্ট রাইটিং

বর্তমানে ChatGPT এর চেয়ে বেশি ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় যেই খাতে, সেটি হলো কনটেন্ট রাইটিং। একজন ব্যক্তি সহজেই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে কন্টেন্ট ও ব্লগ রাইটিং করতে পারে। তারপর সেই কনটেন্ট নিজের ইচ্ছামত নিজের কোন ব্লগ ওয়েবসাইটে কিংবা ক্লায়েন্টের কাছেও বিক্রি করতে পারে।

বর্তমানে Upwork, Fiverr ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এমন অনেক সার্ভিস সেলার খুঁজে পাওয়া যায়, যারা শুধুমাত্র চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে কন্টেন্ট জেনারেট করে দিবে। এর বিনিময়ে তারা ক্লায়েন্টের কাছ থেকে তুলনামূলক ভালোই পেমেন্ট পেয়ে থাকে। তবে এভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে আগে থেকেই Chat GPT দিয়ে ভালো মানের আর্টিকেল জেনারেট করা শিখতে হবে। 

এক্ষেত্রে কিভাবে ভালো মানের প্রম্পট জেনারেট করতে হবে, সেটি জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। আপনার প্রম্পট বা কমান্ড যত বেশি গোছানো ও তথ্যবহুল হবে আপনি চ্যাট জিপিটি থেকে ততই ভালো ফিডব্যাক নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। আর আপনার কাজ যত ভালো হবে কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনাও ততই বৃদ্ধি পাবে।

(২) প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লাভজনক হলেও প্রোডাক্ট রিভিউ লেখা। আর অধিক পরিমাণে মানসম্মত প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার জন্য চ্যাট জিপিটি হলো একটি খুবই উপযুক্ত AI টুল। যেকোনো প্রোডাক্ট এর জন্য কিছু তথ্য সরবরাহ করে সেই প্রোডাক্টের রিভিউ আর্টিকেল জেনারেট করে নেওয়া সম্ভব চ্যাট জিপিটি দিয়েই। 

আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই প্রোডাক্ট রিভিউ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে সার্ভিস দিতে পারেন। এছাড়াও নিজস্ব ওয়েব সাইটে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য নির্দিষ্ট নিশ সিলেক্ট করে কাজ করে যেতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই শুধুমাত্র chatgpt ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটে মাসিক ৩০০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে। 

এক্ষেত্রেও আপনাকে ভালো প্রম্পট সম্পর্কে বিস্তর ধারণা অর্জন করতে হবে। সাধারণভাবে চ্যাট জিপিটিকে যেকোন কমান্ড দিয়ে আর্টিকেল লিখলে ভালো মানের রিভিউ আর্টিকেল পাওয়া যায় না। তবে গোছানো ও কাস্টমাইজড কমান্ড দিতে পারলে হিউমান রাইটারদের মতো যুগোপযোগী রিভিউ আর্টিকেল জেনারেট করে ইনকাম করতে পারবেন। 

(৩) ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন সার্ভিস যেমন ইমেইল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন, কপি রাইটিং ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটি টুলটি ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাস্টমারদের টার্গেট করে Bulk আকারে একসাথে বহু ইমেইল লিখিয়ে নেওয়া যায়। তারপর ক্যাম্পেইন করার মাধ্যমে সেগুলোর নির্দিষ্ট কাস্টমারদের টার্গেট করে পাঠানো যায়। 

এভাবে মার্কেটিং করার মাধ্যমে খুব সহজেই কাস্টমার ম্যানেজ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি করা বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট কিংবা সেই কোম্পানির সম্পর্কে টার্গেটেড অডিয়েন্সদেরকে আকৃষ্ট করতে এবং সঠিক ধারণা দিতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হয়। আর এর জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে আরো সহজ করতে Chat GPT এর সাহায্য নেওয়া যায়। আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান) হয়ে এ ধরনের মার্কেটিং করে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

(৪) ই-বুক রাইটিং

ChatGPT ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ই-বুক লিখে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারবেন। চাহিদা অনুযায়ী বিষয়বস্তু নিয়ে ভালো মানের ই বুক লিখতে পারলে তা কয়েক লক্ষ টাকাতে বিক্রি করা যায় সহজেই। নিজের জন্য লেখা ছাড়াও আপনি বিভিন্ন ক্লায়েন্টের হয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ই-বুক রাইটিং করতে পারেন। 

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ই-বুক রাইটার হায়ার করা হয়। সেখানে আপনি নিজের গিগ ও পোর্টফোলিও পাবলিশ করে ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করতে পারলে, তাদেরকে ই-বুক রাইটিং এর সেবা দিতে পারবেন। সাধারণত বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বড় পরিসরের ই-বুক রাইটারদেরকে ১০০০-৩০০০ ডলারের কাজ দেওয়া হয়।

(৫) স্ক্রিপ্ট রাইটিং

যেকোনো মানসম্মত ভিডিও তৈরি করার জন্য আগে থেকেই একটি স্ক্রিপ্ট লিখে নিতে হয়। বর্তমানে অধিকাংশ ইউটিউবার এবং অন্যান্য প্লাটফর্ম এর ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আগে থেকেই নিজেদের ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নেয়। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মানসম্মত স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে চ্যাট জিপিটি এর সাহায্য নিতে পারেন।

আপনার কাঙ্খিত স্ক্রিপ্টের ধরন, বাচনভঙ্গি, লেখার ফরমেট এবং আপনার কথা বলার টোন সম্পর্কে আগে থেকেই Chat GPT কে ধারণা দিতে হবে। তারপর সে অনুযায়ী নতুন একটি বিষয়ে স্ক্রিপ্ট লেখাতে চাইলে ভালো ফিডব্যাক পাবেন। এভাবে আপনি নিজের জন্যও স্ক্রিপ্ট রাইটিং করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারবেন।

শুধুমাত্র স্ক্রিপ্ট রাইটিংই নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির ভিডিও সম্পর্কে ধারণা নিতেও এই জিপিটিকে ব্যবহার করা যায়।

(৬) AI ভয়েসওভার ও ডাবিং

চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং করার পর, সেই ভিডিওর জন্য ভয়েসওভারও দিতে পারবেন। AI ভয়েসওভার নামের এই ফিচারটি ব্যবহার করে খুব সহজেই একটি সম্পূর্ণ লেখার ভয়েস জেনারেট করে নিতে পারবেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে এ ধরনের সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়াও একটি ভিডিও অন্য একটি ভাষায় ডাবিং করার ক্ষেত্রেও প্রথমে স্ক্রিপ্ট লিখিয়ে নিয়ে সেটি ডাবিং করে নতুন ভাষায় তৈরি করে নিতে পারবেন চ্যাট জিপিটি এর সাহায্যে।

(৭) কোডিং সার্ভিস

AI Tool দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কোডিং করা যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে কিংবা নতুন কিছু সংযোজন করার জন্য নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কোডিং করে নিতে পারবেন চ্যাট জিপিটি এর সাহায্যে। তারপর সেই কাস্টম কোড ওয়েব সাইটে পাবলিশ করলে আপনার কাঙ্ক্ষিত রূপে সেটি দেখতে পারবেন। 

আবার বিভিন্ন কোড লেখার পর সেখানে কোন ভুল আছে কিনা তা যাচাই করতেও এ-আই এর সাহায্য নিতে পারেন। আপনি এ ধরনের সার্ভিস বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারবেন।

(৮) চ্যাটবট ডেভেলপমেন্ট

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চায়ের সাথে নিজস্ব কাস্টম চ্যাটবট তৈরি করতে। আপনি সেই সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য কাস্টম চ্যাটবট তৈরি এবং কনফিগার করে দিতে পারবেন। এর জন্য Chat GPT এর নিজস্ব API ব্যবহার করা যায়। সেটি ব্যবহার করে ChatBot তৈরি করে দিয়ে কাস্টমারদের কাছে কোম্পানিকে আরো বিশ্বস্ত করে তোলা যায়। এ ধরনের কাজের জন্য আপনি ভালো পরিমাণের সার্ভিস চার্জ নিতে পারবেন। 

চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট ফাইন্ডিং

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হলো ক্লায়েন্ট ফাইন্ডিং করা। ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার জন্য কিংবা ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে কাজ সংগ্রহ করার বিষয়ে দক্ষতার অভাবে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে তেমন এগিয়ে যেতে পারে না। এক্ষেত্রেও চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া সম্ভব। 

যেমন- Chat GPT ব্যবহার করে ভালো মানের Gig তৈরি করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে পাবলিশ করা যাবে। আবার কোন ক্লায়েন্ট মেসেজ করলেও তাদেরকে উপযুক্ত রিপ্লাই দিতে জিপিটির সহযোগিতা নিতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানির কাছে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে ইমেইল মার্কেটিং করতেও GPT ব্যবহার করা যায়।

এভাবে দক্ষতার সাথে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সটি ব্যবহার করতে পারলে বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আশাকরি, বিস্তারিত আলোচনাটি বুঝতে পেরেছেন।

সর্বশেষ প্রকাশিত