-

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম | মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কি?

আপনি কি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা বা মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা বর্তমানে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। বাংলাদেশের প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করে থাকে। কখনো বিদেশি মুদ্রা ভাঙে বাংলাদেশের টাকা সংগ্রহ, আবার কখনো বাংলাদেশী টাকা দিয়ে অন্য দেশে মুদ্রা সংগ্রহ করতে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। 

আপনার কাছে যদি ভালো পরিমাণ মূলধন থাকে, তাহলে অধিক লাভজনক এই ব্যবসাটি করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে ‘বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম, কি কি লাগবে, ব্যবসা পরিচালনার নিয়মাবলী এবং সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ আলোচনা করা হলো।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কি?

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা হলো বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করার একটি অর্থনৈতিক কার্যক্রম। মূলত মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের মুদ্রার সাথে বিনিময় করে থাকে।

যেমন: কোন কাতার/সৌদি আরব প্রবাসী যদি সেই দেশের ‘রিয়াল’ বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে সেই রিয়াল বাংলাদেশী টাকায় রূপান্তর করতে চায়, তাহলে তাকে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার টাকা ডলারে পরিবর্তন করতে পারবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থ লেনদেন করা, বিদেশে ভ্রমণের সময় এক দেশের মুদ্রা থেকে অন্য দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ব্যবসার গুরুত্ব অনেক। সাধারণত একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ লেনদেন করে থাকে।

বাংলাদেশে প্রায় ২৩৫টি বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও আরো প্রায় ১ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এই ব্যবসা করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম | Money Exchange BD

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করা এবং ব্যবসার নীতিমালা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। যেহেতু আন্তর্জাতিক মুদ্রার লেনদেন ও মুদ্রার বিনিময় একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কার্যক্রম। তাই এই ধরনের ব্যবসাতে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী এবং পরিচালনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।

নিচে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

(১) মানি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্স করা 

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার জন্য সরাসরি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। লাইসেন্স ছাড়া মানি এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনত অপরাধ। এক্ষেত্রে লাইসেন্স পেতে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। যেমন: 

  • আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে কিংবা বাংলাদেশের আওতাধীন একটি কোম্পানি হতে হবে।
  • ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক মূলধন কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকা হতে হবে। 
  • কোম্পানির নামের সাথে Exchange, Forex, Remittance, Money Transfer ইত্যাদি শব্দ রাখতে হবে।

আপনার কোম্পানির এসকল যোগ্যতা থাকলে কোম্পানির অন্যান্য ডকুমেন্টস, ব্যবসার পরিকল্পনা এবং পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের তথ্য জমা দিতে হবে। 

(২) ব্যবসার প্রারম্ভিক মূলধন বেশি রাখা

মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রারম্ভিক মূলধনের সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এসেছে ব্যবসা শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে অন্তত ৫০,০০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। মূলত মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসা হওয়ায়, প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক স্থিতি রাখতে এবং তারল্য সংকট যেন না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখেই এটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

(৩) ব্যাংক একাউন্ট খোলা

আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল লেনদেন পরিচালনা করার জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো একটি ব্যাংক থেকে এখন খুলেই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। 

যেহেতু এই ব্যবসাতে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে, তাই ব্যবসা পরিচালনার জন্য এবং নগদ অর্থের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলোতে একাউন্ট খুলতে পারেন।

(৪) ব্যবসা শুরুর বোর্ড রেজুলেশন কপি সংগ্রহ 

উপরোক্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরও ব্যবসা শুরু করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনরায় অনুমতি নিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি দেওয়ার আগে আপনার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন না।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, লাইসেন্স, প্রতিষ্ঠানের তথ্য ইত্যাদি দিয়ে ব্যবসা শুরুর অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর ব্যবসা শুরুর বোর্ড রেজুলেশন কপি বা অনুমোদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

(৫) প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী অফিস ও কার্যক্রম

লাইসেন্সপ্রাপ্ত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট স্থানে অফিস স্থাপন করতে হবে। অফিসে মানি এক্সচেঞ্জ সম্পর্কিত সকল রেকর্ড এবং কাগজপত্র গুলো সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় এই সকল ডকুমেন্টস পরিদর্শন করতে পারে।

(৬) লাইসেন্স নবায়ন করা

মূলত Money Exchange License একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় নবায়ন করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক স্থিতি, রেকর্ড, এবং পূর্বের লেনদেনের প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। 

তারপর নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে এবং শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে পারবেন।

উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি বাংলাদেশে মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে 

মানি এক্সচেঞ্জ করার নিয়ম বা ব্যবসা পরিচালনার নিয়মাবলী

সাধারণত মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসাটিতে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম থাকলেও, অনেক সময় সচেতনতার অভাবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য আপনি যেসকল নিয়মাবলী অনুসরণ করতে পারেন, সেগুলো হলো:

(১) সকল গ্রাহকদের তথ্য যাচাই 

ব্যবসাতে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা কমাতে আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল গ্রাহকদের তথ্য যাচাই করা (Customer-KYC) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিচয়, ঠিকানা, এবং লেনদেনের উদ্দেশ্য নির্ধারণের মাধ্যমে KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।

(২) অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ব্যবস্থা গ্রহণ

AML বা Anti Money Laundering এর কঠোর নিয়ম নীতি অনুসরণ করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কোনো লেনদেন শনাক্ত হলে তা কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণয়ন করা গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।

(৩) মাসিক এবং বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করা

আপনার ব্যবসার যাবতীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রতি মাসে এবং বাৎসরিকভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে ব্যবসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তাছাড়া এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মাসিক ও বার্ষিক লেনদেনের হিসাব দিতে হয়।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের তথ্য, ট্রানজেকশনের সংখ্যা, এবং গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ করতে হয়। তাই প্রতিবেদন তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

(৪) মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ 

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতিদিনের আপডেট মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করা। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের ইচ্ছামত রেট-এ অর্থ লেনদেন করতে পারবেনা। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেট অনুসারে বিনিময় হার রাখতে হবে।

(৫) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের নানা রকম অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড হতে পারে। তাছাড়া নগদ টাকা চুরি বা ছিনতাই হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই সিকিউরিটি গার্ড মোতায়েন করতে পারেন।

উপরোক্ত দিকনির্দেশনা গুলো ছাড়াও, ব্যবসা শুরু করার পর আপনি আরও অনেক পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেগুলো যথাযথভাবে পালন করলেই ব্যবসায়ের সফলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

মানি এক্সচেঞ্জ করতে কি কি লাগে?

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে, সেগুলো হলো:

  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ।
  • বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা লাইসেন্স। 
  • বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও ভিসার কপি। 
  • ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও TIN Certificate. 
  • আর্থিক সচ্ছলতার প্রমানপত্র বা Bank Reference Copy. 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  • বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যবসা শুরুর অনুমোদন পত্র।
  • প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের তথ্য এবং চুক্তিপত্র।
  • প্রতিষ্ঠানের KYC এবং AML নীতিমালার কপি।

এছাড়াও ব্যবসা শুরুর পর পরিচালনার সময় নিয়মিত আয়কর রিটার্নের দাখিলা জমা দেওয়া, বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সুবিধা সমূহ

  • মানে এক্সচেঞ্জ ব্যবসাতে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। যেহেতু আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হার প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে, তাই সঠিক সময়ে ক্রয়/বিক্রয় করতে পারলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
  • এটি প্রায় সব সময়ই একটি চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। কারণ ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের প্রতিনিয়ত বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়।
  • এই ব্যবসাতে সর্বদা নগদ অর্থের লেনদেন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে সবসময় সচল থাকে।
  • সাধারণত বৈদেশিক বিনিয়োগ, ব্যবসা, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসাটি সেবামূলক কাজ করে।
  • সাধারণত এই ব্যবসায় ঝুঁকি কম থাকে। নিয়ম-কানুন এবং সঠিক মানি এক্সচেঞ্জ রেট অনুসরণ করতে পারলে এটিকে একটি স্থিতিশীল ব্যবসা বলা যায়।
  • বড় প্রতিষ্ঠান গুলোতে গ্রাহক সেবা দেওয়ার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে হয়। এক্ষেত্রে অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়।
  • অন্যান্য ব্যবসার মতো এই ব্যবসাতে পণ্য ক্রয়, মালামাল পরিবহন ইত্যাদি ঝামেলা থাকেনা। 
  • বর্তমানে ঘরে বসেই অনেকে এই ব্যবসাটি করছে, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাড়তি সুযোগ বয়ে আনে। তবে এক্ষেত্রে সৎ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এটি বিবেচনায় রেখে যদি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়, তবে এটি হতে পারে একটি লাভজনক ও নিরাপদ ব্যবসা।

শেষকথা 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। যদিও এই ব্যবসাতে অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারের ওঠানামা সম্পর্কে ধারনা না থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া মানি লন্ডারিং আইন না মানলে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। তাই সচেতনতার সাথে ব্যবসা করতে হবে।

সর্বশেষ প্রকাশিত