-

সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ্যের জানা অজানা গল্প

গৌতম বুদ্ধ্যা ছিলেন একজন শিক্ষক এবং আধ্যাতিক জগতের নেতা, যিনি বুদ্ধো ধর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে নেপালে জন্ম গ্রহন করেন।

গৌতম বুদ্ধ্যা কে ছিলেন?

সিদ্ধারথা গৌতম, কে বা জানত যে একদিন সিদ্ধারথা গৌতমকে সবাই বুদ্ধ্যা হিসেবে জানবে, ষষ্ঠ বা চতুর্থ শতাব্দির সময়ে নেপালে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। পণ্ডিতরা একমত হয়ে বলেন যে তার জিবন বুদ্ধোদের সত্যের পথ দেখায়, তার জিবনের প্রত্যেকটি ধাপ এখনো বিতর্কিত ভাবে বুদ্ধো ধর্মের প্রত্যেককে উজ্জিবিত করে। তার জিবনের সবচেয়ে ব্যাপক পরিচিত কাহিনী অনুযায়ী, বহু বছর ধরে গভির ধ্যানে মগ্ন হয়ে বিভিন্ন শিক্ষার উপর পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য গৌতম অনেকগুলো ভয়াবহ  রাত কাটিয়েছিলেন। তিনি ধ্যানের মাধ্যমে যে সমস্ত উত্তর খুজছিলেন সেগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং তিনি পুর্ণ সচেতনতা অর্জন করেন, যার ফলে তিনি একজন বুদ্ধ হয়ে ওঠেন।

কখন গৌতম বুদ্ধা জন্ম গ্রহন করেছিলেন?

৬ষ্ট শতাব্দিতে নেপালে জন্ম গ্রহন করেন ।

গৌতম বুদ্ধার জীবনী

“বুদ্ধ” বা “আলোকিত এক” বা (যার অর্থ লক্ষ অর্জন করা) ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম নামে এক প্রসিদ্ধ গোত্রে জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতা ছিলেন একজন রাজা যিনি উপজাতির শাসন করতেন, এবং তিনি অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র ছিলেন। গৌতম বুদ্ধা জন্মের সাত দিন পর তাঁর মা মারা যান, কিন্তু একজন তরুন ধার্মিক ব্যাক্তি হিসেবে ভবিষ্যতে কেই বা জানত যে তিনিই হবেন একজন মহান রাজা বা আধ্যাতিক নেতা। সিদ্ধার্থের বাবা তাঁর পুত্রসন্তানকে একটি প্রাসাদে ঐশ্বর্য এবং ধনাঢ্যতার সাথে বড় করেছেন যেই প্রাসাদটি শুধুমাত্র সেই সন্তানের জন্য করা হয়েছিলো, এবং তাকে ধর্মকর্ম এবং যাবতীয় কায়িক পরিশ্রম থেকে দূরে রেখেছিলেন। প্রথা অনুযায়ি, গৌতম বুদ্ধ মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিবাহ করেন, কিন্তু তার জীবনের নিঃসঙ্গতা অন্য ১৩ বছরের জন্য অব্যাহত ছিল। আর একটি মত অনুসারে ২৮ বছর বয়সে তাকে সংসারের প্রতি মনযোগী করার জন্য তার পিতামাতা তাকে রাজকন্যা যশধরার সাথে বিয়ে দেন। অতঃপর পুত্র রাহূল জন্মগ্রহণ করে। তিনি নিজের এই নিশ্চিন্ত বিলাসী ক্ষয়িষ্ণু জীবন যাপনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। বুঝতে পারেনকি অন্তঃসারশূণ্য তার এই জীবন। তাই পুত্র রাহূলের বয়স যখন মাত্র ৭ দিন তখন গৌতম বুদ্ধ যাবতীয় মানবীয় বন্ধন ছিন্ন করে শান্তি আর পুর্নজন্মের শিকল হতেমুক্তির খোঁজে সংসার ত্যাগ করেন। বিশ বছর বয়সে তার পিতা গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব অর্জন করে কপিলাবস্তু তে ফিরে আসলে পুত্র পিতার কাছ থেকে দীক্ষিত হয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুতে পরিণত হন। এবার একটা গল্প শোনা যাক; অবশ্য সত্যিও হতে পারে। সাধারনত প্রত্যেক ধর্মেই কিছু গল্প থাকে। সত্য-মিথ্যা যাই হোক কথিত আছে, একদিন রাজকুমার সিদ্ধার্থ বেড়াতে বের হলে ৪ জন ব্যাক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। প্রথমে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, অতঃপর একজন অসুস্থ মানুষ এবং শেষে একজন মৃত মানুষকে দেখতে পান। তিনি তার সহিস চন্নকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে চন্ন তাকে বুঝিয়ে বলে যে এটিই সকল মানুষের নিয়তি। আবার আরেকদিন তিনি চন্নকে নিয়ে বের হলেন। এবারে তিনি দেখা পেলেন একজন সাধুর, যার মাথা মুড়ানো এবং হলুদ রং এর জীর্ন পোশাক পরা। চন্নকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে উনি একজন সন্নাসী, যিনি নিজ জীবন ত্যাগ করেছেন মানুষের দুঃখের জন্য। সেদিন রাত্রেই ঘুমন্ত স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে তিনি প্রাসাদ ত্যাগ করেন। সাথে নিলেন  চন্নকে। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের শেষ সীমায় পৌছে তিনি থামলেন। তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেললেন তার লম্বা চুল। অতঃপর চন্নকে বিদায় জানিয়ে যাত্রা শুরু করলেন আলোকের খোঁজে, মাত্র ২৯ বছর বয়সে। দুঃখ ও দুঃখের কারণ সমন্ধে জানতে সিদ্ধার্থ যাত্রা অব্যাহত রাখেন। প্রথমে তিনি আলারা নামক একজন সন্নাসীর কাছে যান। তার উত্তরে সন্তুষ্ট হতে না পেরে তিনি যান উদ্দক নামক আর একজনের কাছে। কিন্তু এখানেও কোনো ফল পেলেন না। এভাবে কিছু দিন যাবার পর তিনি মগধের উরুবিল্ব নামক স্থানে একটি গাছের নিচে ধ্যান শুরু করেন। কঠোর সাধণার ফলে তার শরীর ক্ষয়ে যায়। কিন্তু এ তপস্যায় তিনি ভয়, লোভ ও লালসাকে অতিক্রম করে নিজের মনের উপর সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে সক্ষম হলেন। সহসা তিনি বুঝতে পারলেন এভাবে আলোকলাভ হবেনা। তিনি তাই আবার খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সুগত নাম্নী এক নারীর কাছ হতে তিনি এক পাত্র দই আহার করলেন। অতঃপর তিনি নদীতে স্নান করে পুনরায় ধ্যাণে বসেন। অবশেষে কঠোর তপস্যার পর তিনি আলোকপ্রাপ্ত হলেন। তিনি দুঃখ, দুঃখের কারন, প্রতিকার প্রভৃতি সমন্ধে জ্ঞান লাভ করলেন। বুদ্ধের মৃত্যুর পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কোরিয়া সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে।

Lord Buddha Quotes (উদ্ধৃতি

  • আপন আপন উদ্দ্যেশ্যকে পুরো হৃদয় ও আত্না দিয়ে খুজতে হয়।
  • “স্বাস্থ্য হল সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, সন্তুষ্টি সর্বাধিক সম্পদ, বিশ্বস্ততা সর্বোত্তম সম্পর্ক
  • চলুন আমরা জেগে উঠি এবং কৃতজ্ঞ হই, যদিও আমরা বেশি শিখি নি অন্তত একটু শিখি, যদিও আমরা একটুও না শিখি অন্তত পথভ্রষ্ট না হই, যদিও আমরা পথভ্রষ্ট হই অন্তত পথভ্রষ্ট থাকাকালীন সময়ে না মরি।
  • আমরা যা চিন্তা করি তাই ই, আমাদের চিন্তা চেতনার সাথে সব কিছু জেগে উঠে, এবং তা দিয়ে আমরা পৃথিবি তৈরি করি।
  • রাগ করা হল একটী কয়লার মত,যেটি অন্যের উদ্দ্যেশ্যে ছুরে ফেলা হলে নিজেই এর ফুল্কায় দগ্ধ হবে।
  • নিজের মনকে সঠিক পথে পরিচালিত কর অতঃপর একদিন মন তোমায় সঠিক পথে পরিচালিত করবে।

Quick Facts:

Name: Buddha

Occupation: Religious Figure

Birth Date: c. 600 BCE

Death Date: c.300 BCE

Place OF Birth: Lumbini, Nepal

Place OF Death: India

Also Known As Shakyamuni Buddha

Originally: Siddhartha Gautama

সর্বশেষ প্রকাশিত