-

শাহ মোহাম্মদ মসজিদ

১৬৮০ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ হয়।শাহ মাহমুদ মসজিদ নামেই কিশোরগঞ্জে এর পরিচিতি পাওয়া যায়।কিন্তু ইউনেস্কোর ক্যাটালগে এর নাম “শাহ মোহাম্মাদ মসজিদ” নামেই নির্দেশ করা হয়।চারপাশে আড়াইফুটি দেয়াল ঘেরা একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর ১৬৮০ সালে নির্মিত এই মসজিদটিতে রয়েছে মোঘল শিল্পরীতি ও স্থানীয় শিল্পরীতির নিপুণ সমন্বয়। এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতি এই মসজিদের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট, যার চার কোণায় আট কোণাকৃতির বুরুজ রয়েছে।মসজিদের ভিতর ও বাইরের রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক এবং পূর্বের দেয়ালে ৩টি দরজা ও ছনের কুটীরের ন্যায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি পাকা দোচালা ভবন রয়েছে। অনেক আগে মসজিদের চার কোণায় চারটি মূল্যবান প্রস্তর ফলক ছিল যা বর্তমানে লুন্ঠিত।

No automatic alt text available.

যেভাবে যাবেনঃ
এই মসজিদটি ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য আপনি বনানী থেকে বাস পাবেন এগারসিন্দুর কিংবা জলসিড়ি। টিকেট কাটবেন বটতলীর যদিও ঐ পর্যন্ত যাওয়া লাগবে না এর আগেই বাস কন্টাকদের বললেই হবে এগারসিন্দুর নামিয়ে দিতে পরে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই হবে যে এগারসিন্দুর মসজিদটা কোথায়, খুব সহজেই হেটে চলে যেতে পারবেন গ্রাম্য পরিবেশের সাথে সাথে।ও হ্যা ভাড়া পরবে ১২০-১৪০ টাকা মানে ১৫০ টাকায় পৌছে যেতে পারবেন।এছাড়া পর্যটকদের থাকার জন্য জেলা শহরে রয়েছে সুবন্দোবস্ত। সার্কিট হাউস, ডাকবাংলো, এলজিইডির রেস্টহাউস প্রভৃতি সরকারী ব্যবস্থার পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাংলোসহ অভিজাত আবাসিক বিভিন্ন গেস্টহাউস। থাকা খাওয়ার মান ও দাম মোটামুটি লোভনীয়।আর যদি একদিন গিয়ে একদিনেই চলে আসেন তাহলে খাওয়ার জন্য মির্জাপুর বাজারের খাবার সেরা এছাড়া মঠখোলা বাজারেও খেতে পারেন এ দু জায়গার খাবার দারুণ যেখানেই খান।

যাওয়ার পরে সাথে আরো যা যা পাবেনঃ
শাহ মোহাম্মাদ মসজিদের দারুণ সৌন্দর্য আপনাকে এক শান্তির মাঝে নিয়ে যাবে সামনেই একটা ছোট্ট কুঠীর পাবেন যেখানে বর্তমানে মসজিদের মুয়াজ্জিন থাকেন আর তার সামনেই পাবেন বিশাল এক দীঘি অনুমতি নিয়ে চাইলে গোসলও করতে পারেন যদিও আমার মতে না করায় শ্রেয় অনেক পুরোতন দীঘি তো তাই বিপদের কথা বলা যায় না। এছাড়া এখানে খুব আশেপাশেই পাবেন ঈশা খাঁর দখলকৃত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। যেখান থেকে তিনি মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হতেন সঙ্গে রয়েছে বালাখানা মসজিদ, বেবুদ রাজার দীঘি। এই জায়গা গুলোতে আপনি হেটে হেটেই চলে যেতে পারবেন,আশে-পাশে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই যে কেউ আপনাকে হাসি হাসি মুখ করে ঘুরে ঘুরে নিয়ে দেখাবে। গ্রাম্য পরিবেশে দারুণ এক অনুভূতি পাবেন বিশেষ করে ইটের ভাটার সাথে বেবুদ রাজার দিঘী যেতে রাস্তাটায় বেশি ভালো লাগবে।

বিঃদ্রঃ অনুরোধ রইলো সবার কাছে যারাই যাবেন অবশ্যই মসজিদের ভেতরে ঢুকলে জুতা খুলে প্রবেশ করবেন।এতে করে ভেতরটাও ঘুরে আসতে পারবেন খুব কাছ থেকে প্রাচীন নকশা গুলোও ধরে দেখতে পারবেন।

সর্বশেষ প্রকাশিত