খবরটি শুনে মাথায় হাত দিয়ে বসে বলতেই পারেন, ভিডিও গেমস যখন খেলি, তখন আরেকটু ভালো করে খেললেও পারতাম! কারণ ফিফা ইবিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে একজন জিতে নিয়েছেন আড়াই লাখ ইউএস ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই কোটি ১১ লাখ টাকা। ভিডিও গেমের জন্য বিপুল জনপ্রিয় এক্স বক্স ব্যবহার করা মোসাদ আল দোসারিই সেই ভাগ্যবান ও গুনবান খেলুয়ার। তবে সহজে হাতে পাননি এ দুই কোটি টাকা। সৌদি আরবের এ গেমার চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য পেছনে ফেলেছেন দুই কোটির বেশি প্রতিযোগীকে।
ফিফা ফুটবল ইবিশ্বকাপ খেলার জন্য পৃথিবী জুড়ে দুই কোটিরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহন করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন ধাপ পেড়িয়ে ১৯ দেশের ৩২ জন প্রতিযোগীকে ডাকা হয় লন্ডনের চূড়ান্ত ফাইনালে। মূল বিশ্বকাপের ৩২টি দেশের সঙ্গে মিল রেখেই যেন। সেখানেই বাজিমাত করে দেখিয়েছেন সৌদি আরবের মোসাদ আল দোসারি। বেলজিয়ামের স্তেফানো পিনাকের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মোসাদ। আর পুরস্কারের অর্থ হিসেবে তাঁর হাতে উঠেছে আড়াই লাখ ডলার।
ভিডিও গেম শুনে ছেলেখেলা মনে হলেও বিষয়টি মোটেও সহজ কিছু নয়। খেলাটি হয়েছে অন্যান্য খেলার মতো দর্শকদের সামনে। আর ভালো কিছু করার জন্য প্রয়োজন অনেক আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমের। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের কথায় আগে বলেছেন মোসাদ, ‘আমার ও আমার দলের কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের জন্য এই জয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফিফা গেমস বাড়ানোর জন্য এটা চমৎকার, তবে এটি এমন কিছু যা আমি কখনো কল্পনা করতে পারতাম না। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমার, আমার বন্ধুদের ও পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শ্রোতাদের সামনে জয় করার সুযোগ পাওয়াটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। ভাষায় প্রকাশ করার জন্য আমি শব্দ হারিয়ে ফেলেছি।’
এক সময় ভিডিও গেমস শুধুই সময় কাটানোর জন্য ব্যবহৃত হতো। এখন এ নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। দুই কোটি গেমারের অংশগ্রহণ তো সে কথাই বলে। ভবিষ্যতে এটাই ভিডিও গেম কি মূল ধারার খেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে কি না—এ প্রশ্নটিও ওঠে গিয়েছে। আশার কথাই শুনিয়েছেন ফিফার বিপণন পরিচালক জ্যঁ ফ্রাসোয়া প্যাথি, ‘ফিফা ইওয়ার্ল্ড কাপ গ্র্যান্ড ফাইনাল ২০১৮ প্রতিযোগিতামূলক ফিফা গেমিং এর পেশাদারি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ প্রদান করেছে। এ বছর খেলাটির উন্নতি হয়েছে এবং আধুনিক এবং ঐতিহ্যগত প্ল্যাটফর্মের নতুন খেলোয়াড়দের, ভক্তদের জড়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’